Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম হবে বাংলাদেশ -পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৮, ৭:১১ পিএম

বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এ বছরই (২০১৮) বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আছে ৪৩তম অবস্থানে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে পৌঁছাবো।

বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পণামন্ত্রী বলেন, গরিব দেশ হওয়ার যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় উঠেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ৪৩ বছর পর আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলাম। হয়তো আমাদের এখানে আসতে অন্য দেশের তুলনায় সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু এখন আমরা খুব দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবো। কারণ আমাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্টে আমরা সব দেশ থেকে এগিয়ে। আমাদের মতো কর্মক্ষম জনবল কোনো দেশে নেই। যেটা আমরা ধরে রাখতে পারবো ২০৬১ সাল পর্যন্ত।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক-এ তিনটির যেকোনো দুটি অর্জন করতে পারলেই স্বীকৃতি মেলে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের মানদণ্ডে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ ডলার। সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২৭১। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ বা এর বেশি। বাংলাদেশ সেখানে অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। এছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে বাংলাদেশের আছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিপিডি) হিসেব।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ৫৮ ছিলাম। সেখান থেকে এখন আমরা ৪৩ তম অবস্থান। ২০২০ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো। সেখানে আমরা ২০তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে অবস্থান করবো। এই ক্ষেত্রে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি। আমরা গভীর সমুদ্রবন্দর করছি। গ্যাস, বিদ্যুতের উন্নয়ন করছি। ২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। আমাদের প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করা দরকার। হয়তো আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ কম। তবে আমরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি তাদের বিনিয়োগ বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ