বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে এখন সুনসান নীরবতা। একটি হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে তান্ডবের পর প্রায় পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে ওই গ্রামটি। বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। গ্রামটির অর্ধশতাধিক বাড়িতে রয়েছে ক্ষত চিহ্ন। গ্রামের কাতাইরা বাড়ি, লাড্ডু বাড়ি, খান বাড়ি, হোরা গাজী বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুরের দৃশ্য। ভয়ে পুরুষরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। নারী ও শিশুরা বাড়িতে অবস্থান করলেও রয়েছে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায়।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, বাড়ি ঘরে শুধু হামলাই নয়, লুটপাটও হয়েছে। এসব ঘরে কোনো জিনিসপত্র নেই। বেশিরভাগ বাড়িই এখন তালাবদ্ধ। কিছু কিছু বাড়িতে নারী ও শিশুরাও থাকলেও আছে আতঙ্কে। সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি হিরামনি নামে এক নারী জানান, তারা আতঙ্কে আছেন। ঘটনার সঙ্গে তাদের পরিবারের কেউ জড়িত না থাকলেও আক্রান্ত হয়েছেন। একজনকে পুলিশ ধরেও নিয়ে গেছে। বর্তমানে গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা জানান, গ্রামে মোট ৩২ জন পুলিশ রয়েছে। দিনরাত তারা গ্রামজুড়ে পাহারা দেন। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে মামলায় নাম থাকা পুরুষরা এলাকা ছাড়া। কাতাইরাবাড়ির জহর মিয়ার স্ত্রী হাসনা বেগম জানান, তার স্বামী চলাফেরা করতে পারেন না। এক ছেলে দেশের বাইরে থাকে।
খুনের ঘটনার সঙ্গে তারা কেউ জড়িত নয়। এরপরও তাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার এস.আই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এলাকায় এখন আর কোনো সমস্যা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে মামলা থাকায় গ্রামের পুরুষ সদস্যদের বেশিরভাগই এখন এলাকায় নেই বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, লক্ষীপুর গ্রামে গত ২ মার্চ আরশ আলীর গোষ্ঠী ও কাতাইরা বাড়ির গোষ্ঠীর মধে মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আরশ আলীর গোষ্ঠীর দুলাল মিয়া নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাতাইরাবাড়ি গোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিক বাড়িঘরে হামলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।