Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একই বিবেচনায় বারবার অনুকম্পা নয় -অ্যাটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:৫৬ পিএম

খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় তিনি বারবার অনুকম্পা পেতে পারেন না। আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ হবে, আর তার সঙ্গে জড়িত থাকবেন রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি, তিনি কোনো অনুকম্পা পেতে পারেন না।’
আজ আপিল বিভাগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে শুনানিনে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার বয়স, সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে তার সাজার মেয়াদ কমিয়েছেন। একই বিবেচনায় তিনি কতবার অনুকম্পা পাবেন? বিচারিক আদালত অনুকম্পা দেখিয়েছেন।’

হাইকোর্ট এই মামলার শুনানির জন্য চার মাসের মধ্যে পেপার বুক তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুলে ধরে বলেন, ‘হাইকোর্ট চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন। আপনারা (আপিল বিভাগ) সময় কমিয়ে দুই মাস করে দেন। বিডিআরের মতো বড় মামলাতেও অল্প সময়ের মধ্যে পেপার বুক প্রস্তুত করা হয়েছিল।’

জামিনের বিরোধিতা করে তিনি আরও বলেন, ‘যখন বিচারিক আদালতে বিচার চলছিল, তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থা এক নয়। এখন খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত আসামি। তাঁর বয়স ও অসুস্থতা বিচারিক আদালত আগে বিবেচনা করে ১০ বছরের জায়গায় পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। তাঁর সাজা খাটা শেষ হয়ে যাবে আর তার আপিল শুনানি শেষ হবে না—এমন তো কখনো হয়নি। এটা অ্যাবসার্ড। অবশ্যই শুনানি হবে।’

এর বাইরে অ্যাটর্নি জেনারেল বিচারিক আদালতের মামলার রায়ের বিভিন্ন অংশ আপিল বিভাগকে পড়ে শোনান। এগুলো তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এর আগে খালেদা জিয়া বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করেছেন। তিনি জামিনের অপব্যবহারও করেছেন। তিনি কোর্টকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তিনি মিসকনডাক্ট করেছেন।’

এ ছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও লালু প্রসাদ যাদবের মামলার নজির আদালতকে পড়ে শোনান। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অসুস্থতার যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, এই অসুখ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন, বিদেশ গেছেন, তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।’

এর আগে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া যে অসুস্থ, এর সপক্ষে তাঁর আইনজীবীরা চিকিৎসা সনদ আদালতে উপস্থাপন করেননি। তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জামিনের অপব্যবহারের অভিযোগ করেন আদালতের কাছে। এ সময় তিনি বিচারিক আদালতের আদেশ পড়ে শোনান এবং বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি ছাড়াও বিদেশে গেছেন। এর থেকে জামিনের অপব্যবহার আর কি হতে পারে?

অ্যাটর্নি জেনারেল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বক্তব্য শেষ করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পর বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ