মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতাই দৃশ্যত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চীন-ভারত বৈরিতা প্রশমনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা এমন এক সমঝোতার পথ পরিষ্কার করছেন যা অনেক অমীমাংসিত সমস্যার মধ্যেও অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও বহাল থাকবে। আগামী ২০১৯ সালের মে মাসের কঠিন পার্লামেন্টারি নির্বাচনের আগে মোদি তার অর্থনৈতিক প্রাসাদ গড়তে দম ফেলার জন্য খানিকটা ফুসরত চাচ্ছেন। তিনি জানেন, তিনি দম নেওয়ার ফুসরত কেবল তখনই পেতে পারেন, যখন গত বছরের দোকলাম সঙ্কট-পরবর্তী অচলাবস্থা থেকে সরে আসতে পারবেন। আর শি জানেন, তার ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর) উদ্যোগ সফল হবে না যদি না ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যায়। দেন জিয়াওপিং যদি চীনকে অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে গড়ে থাকেন, তবে শি চাচ্ছেন চীনকে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের ওবিওআর উদ্যোগের মাধ্যমে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অথনীতিতে সিদ্ধান্তসূচক শক্তিতে পরিণত করতে। যতবার খুশি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বিদ্বতা করার অধিকার পেয়ে শি এখন ওবিওআরের প্রতি দীর্ঘ মেয়াদি নজরদারির সুযোগ পেয়েছেন। সফল হতে হলে শিকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে হবে। তাকে কোনো না কোনোভাবে ভারতকে ওবিওআরে সম্পৃক্ত করতে হবে। চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়াটা বন্ধ হলে তাকে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উভয় দিক দিয়েই ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে হবে। চীনা কোম্পানিগুলোকে যাতে আরো বড় পরিসরে ভারতের বাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। কিন্তু ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কঠোর প্রতিরোধ সৃষ্টি করে রেখেছে। এই প্রতিরোধ ভাঙতে আগ্রহী চীন। দোকলাম সঙ্কটের পর ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বেড়েছে। ডিসেম্বরে রাশিয়া, চীন ও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে নয়া দিল্লি সফর করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামন চীন সফর করবেন। আর জুনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জুনে মোদি যাবেন চীন। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।