নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লক্ষ্যটা এবারো ছোট ছিল না। কিন্তু এবার যে কাওকে পাশে পেলেন না মুশফিক। ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ঝাকঝকে ইনিংস খেলেও তাই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ১৭ রানে হারের ক্ষত নিয়ে। টানা তৃতীয় জয়ে নিদাহাস টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ভারত।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে তামিম-লিটনের শুরুটা এদিন একদম ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ওভারে লিটনের আউটের পর ভালো কিছুর আশা ছিল সৌম্যের কাছ থেকে। কিন্তু ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাও তো রক্ষা করা চায়! ওয়াশিংটন সুন্দরের বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের মধ্যে যোজন ব্যবধান রেখে স্ট্যাম হারান দৃষ্টিকটুভাবে। তার আগে তেড়েফুড়ে এসে একই বোলারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে একই ভাগ্য বরণ করেন লিটন। তামিমের বেলায়ও প্রায় একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি। বোলারও সেই সুন্দর। পাওয়ার প্লের মধ্যেই এবার নেই ৪০ রানে ৩ উইকেট!
দলপতি মাহমুদইল্লাহও ম্যাচ শেষে শুরুতে উইকেট হারানোকে পরাজয়ের আসল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তামিম তবুও ১৯ বলে ২৭ রানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস খেলে যান। কিন্তু বারংবার দৃষ্টিকটু আউট হয়ে দলকে ডুবিয়ে যাওয়া সৌম্যের হাত থেকে দল মুক্তি পাবে কবে?
দলপতি মাহমুদউল্লাহও এসে থাকেননি বেশিক্ষণ। তবে মুশফিক-সাব্বিরের ৬৫ রানের জুটি একসময় নতুনকরে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় রান তোলার দিক দিয়ে সাব্বির ছিলেন ধীর। যে কারণে তার ২৩ বলে ২৭ রানের ইনিংসটা হারের ব্যবধানই কেবল কমিয়েছে, জয়ের ভীত গড়েনি। ব্যর্থতার বিমুর্ত প্রতীকে পরিণত হওয়া সাব্বির যখন ফেরেন জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ২০ বলে ৫১ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে বাংলাদেশ করতে পারে ১৫৯। ভারতীয় ফিল্ডারদের একাধীক ক্যাচ ও রান আউট মিসও বাংলাদেশের জয়ের সহায়ক হতে পারেনি। টি-২০তে বাংলাদেশের কাছে ভারতও আরো একবার অজেয় থেকে যায়। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত সেমিফাইনালে। আগামীকালের সেই ম্যাচে বিজয়ী দল খেলবে প্রেমাদাশের ফাইনালে।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাশ স্টেডিয়ামে আসরের পঞ্চম ম্যাচে টস ভাগ্যে হাসে বাংলাদেশ। কোন দ্বিধা ছাড়াই বল বেছে নেন মাহমুদউল্লাহ। আগের চার ম্যাচেই যে পরে ব্যাট করা দল জিতেছে। এজন্য অবশ্য বোলারদের ভুমিকাও কম ছিল না। কিন্তু কাল টাইগার বোলিং লাইন আপ তা করতে পারলেন কই। এছাড়া ক্যাচ মিসের মহড়া তো ছিলই। ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৯৩ রানের পরও তাই বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত। রুবেল হোসেন যা একটু আলাদা ছিলেন। ভারতের হারানো তিনটি উইকেটই তার। দশম ওভারে দারুণ ইয়োর্কারে বোল্ড করে দেন ২৭ বলে ৩৫ রান করা শেখর ধাওয়ানকে। আর শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে তুলে নেন সুরেশ রাইনার উইকেট। নইলে লক্ষ্যটা আরো বাড়তে পারত। রোহিত শর্মাকে রান আউট করেন ইনিংসের শেষ বলে।
এর আগে ১০২ রানের জুটিতে নিজেদের দায়ীত্বটা নিপুনভাবে সারেন রোহিত-রাইনা। রাইনা ৩ রানের জন্য ফিফটি হাতছাড়া করলেও ৬১ বলে ৫টি করে ছক্কা চারে ৮৯ রান করেন দলপতি রোহিত। তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া আবু হায়দার ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৪ ওভারে বাঁ-হাতি পেসার দেন ৪৩ রান।
নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বরণে বাহুতে কালো ব্যাজ পরে খেলতে নামেন তামিম-মুশফিকরা।
স্কোর কার্ড
নিদাহাস ট্রফি, বাংলাদেশ-ভারত
টস : বাংলাদেশ, কলম্বো
ভারত ইনিংস রান বল ৪ ৬
রোহিত রানআউট (রুবেল) ৮৯ ৬১ ৫ ৫
ধাওয়ান বোল্ড রুবেল ৩৫ ২৭ ৫ ১
রায়না ক সৌম্য ব রুবেল ৪৭ ৩০ ৫ ২
কার্তিক অপরাজিত ২ ২ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা ১, ও ২) ৩
মোট (৩ উইকেট, ২০ ওভার) ১৭৬
উইকেট পতন : ১-৭০ (ধাওয়ান), ২-১৭২ (রায়না), ৩-১৭৬ (রোহিত)।
বোলিং : রনি ৪-০-৪৩-০, অপু ৪-০-২৭-০, রুবেল ৪-০-২৭-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৮-০, মিরাজ ৩-১-৩১-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৯-০।
বাংলাদেশ ইনিংস রান বল ৪ ৬
তামিম বোল্ড সুন্দর ২৭ ১৯ ৪ ১
লিটন স্ট্যাম্প ব সুন্দর ৭ ৭ ১ ০
সৌম্য বোল্ড সুন্দর ১ ৩ ০ ০
মুশফিক অপরাজিত ৭২ ৫৫ ৮ ১
মাহমুদউল্লাহ ক রাহুল ব চাহাল ১১ ৮ ২ ০
সাব্বির বোল্ড ঠকুর ২৭ ২৩ ২ ১
মিরাজ ক রায়না ব সিরাজ ৭ ৬ ১ ০
রনি অপরাজিত ০ ০ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা ১, নো ১, ও ৫) ৭
মোট : (৬ উইকেট, ২০ ওভার) ১৫৯
উইকেট পতন : ১-১২ (লিটন), ২-৩৫ (সৌম্য), ৩-৪০ (তামিম), ৪-৬১ (মাহমদুউল্লাহ), ৫-১২৬ (সাব্বির), ৬-১৫০ (মিরাজ)।
বোলিং : সিরাজ ৪-০-৫০-১, সুন্দর ৪-২-২২-৩, ঠাকুর ৪-০-৩৭-১, চাহাল ৪-০-২১-১, শঙ্কর ৪-০-২৮-০।
ফল : বাংলাদেশ ১৭ রানে পরাজিত।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রোহিত শর্মা (ভারত)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।