পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দুত্ববাদী ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম এবং গরীব কৃষকরা যখন বঞ্ছিত অবহেলিত তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। তিনি ভারতের গ্রামীণ কৃষকদের সাহায্য করার জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, শহরবাসীদের গ্রামের বঞ্ছিত আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। গতকাল বুধবার নিজের ৫৩তম জন্মদিন পালনের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজয় কৃষ্ণ আচারিয়ার থাগস অব হিন্দুস্তান ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খান। সেখান থেকেই জন্মদিন উদযপানে মুম্বাইয়ে আসেন তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন কৃষকদের নিয়ে। সব সময়ই কৃষকদের পক্ষে কথা বলা আমির খান বলেছেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে তাদের পাশে থাকা উচিত সুবিধাভোগী শহরবাসীদের।
ঋণ মওকুফের স্কিম চললেও সুবিধার সে উত্তাপ লাগেনি মহারাষ্ট্রের গরীব কৃষকদের গায়ে। বাধ্য হয়ে বহু কৃষক বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। অখিল ভারতীয় কৃষক সভা দলের নেতৃত্বে আত্মহত্যাকারী কৃষকদের পরিবারসহ প্রায় ৫০ হাজার কৃষক তাই এবার যথাযথ ঋণ সুবিধার জন্য মুম্বাইয়ে রওনা দেয়। যাবতীয় ঋণ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী ভূমি কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় তারা। বহু সংখ্যক আদিবাসী কৃষকও অংশ নেন ওই লং মার্চে। তারা বলেছেন, জমি তাদের কাছে জীবন-মরণ প্রশ্ন। মঙ্গলবার কৃষকদের সব দাবি মেনে নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, ফসলের ন্যায্য দাম, লাঙল যার জমি তার, গরিব কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের জন্য পেনশন, রেল বা মহাসড়ক নির্মাণের জন্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ বন্ধ, আন্ত নদীর পানিবণ্টনসহ আদিবাসীদের অরণ্যের জমির ওপরে অধিকার ইত্যাদি।
এই দাবি আদায়ে গত সোমবার কৃষকদের মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ঘেরাও করার কথা ছিল। তবে তার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনাবিসের এক বৈঠকে বসেন তাদের সঙ্গে। বের হয়ে তিনি বলেন, তার সরকার কৃষকদের দাবির বিষয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। বৈঠকের পর সেচমন্ত্রী গিরিশ মহাজন বলেন, জমি কৃষকদের নামে দেওয়াসহ সরকার তাদের ১০০ ভাগ দাবি মেনে নিয়েছে।
উল্লেখ বাংলাদেশের সিনেমা-টিভির কোনো নায়ক-নায়িকা, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতির ব্যাক্তিত্বকে অবহেলিত বঞ্ছিত গ্রামের কৃষক এবং মিল কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দাবি দাওয়া আদায়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।