পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু কন্টেইনার উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে গতকাল (বুধবার) বন্দরকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। বন্দরের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর এসব কন্টেইনার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাস্টম সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যভর্তি মোট ৫ হাজার কন্টেইনার অবস্থান নিয়ে কাজ শুরু একটি কমিটি। অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ সফিউদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আইজিএম দাখিল হয়েছে, অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে টাকা পরিশোধ হয়নি, অ্যাসেসম্যান্ট ও টাকা পরিশোধ হয়েছে অথচ পণ্য খালাস হয়নি, নিলাম হয়েছে এমন কন্টেইনারের অবস্থান শনাক্ত করার কাজ করছে। কারণ এসব কন্টেইনারে করে আসা পণ্যে সরকারের বিপুল রাজস্ব জড়িত।
কমিটি অনুসন্ধান করতে গিয়ে নিশ্চিত হয় কাগজে-কলমে কিছু কন্টেইনারের অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে এসব কন্টেইনার নেই। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, এসব কন্টেইনারের ব্যাপারে বন্দরের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কাস্টম হাউসের কাছ থেকে এ ধরনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোঃ ওমর ফারুক। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমরাও কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ যেসব কন্টেইনার উধাও হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন সেসব কন্টেইনারের নাম্বার চেয়ে চিঠি দিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।