পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নেতিবাচক ধারায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আহরণ। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। টানা তিন বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয় কাস্টম হাউস। প্রথম মাসেই হোঁচট খাওয়ায় বছর শেষে এবারও লক্ষ্য অর্জন করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তবে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার টার্গেট অর্জনে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি রোধে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। কাস্টম হাউসের সক্ষমতা বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে দক্ষ, প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা চাওয়া হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি রোধে দুটি স্ক্যানার মেশিনসহ বেশকিছু যন্ত্রপাতিও আনা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে রাজস্ব আদায়ে গতি আসবে বলে মনে করছেন তারা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রাজস্ব আদায়ে টার্গেট ছিলো চার হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে তিন হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি ৮১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ ১৭ শতাংশ। তবে গেল অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় এই মাসে ৬৭৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ওভার ইনভয়েজিং, আন্ডার ইনভয়েজিংসহ মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি, কতিপয় কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি, দেশে চোরাচালান বৃদ্ধিসহ নানা কারণে রাজস্ব আহরণের হার কমছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, গাড়ির মতো উচ্চশুল্কের পণ্য আমদানি কমে যাওয়া, মোটর সাইকেলের ১০-১২টি কারখানা গড়ে ওঠায় বিভিন্ন এসআরও’র আওতায় সিকেডি (বিযুক্ত) আমদানি বেড়ে যাওয়া, তেল আমদানিতে লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় অন্যতম কারণ।
দেশে সিংহভাগ রাজস্ব আদায়কারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে এবার এনবিআর ৬৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ছুটি ও বন্দের দিনসহ গড়ে প্রতিদিন ১৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হবে। কাস্টম হাউস তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে আমদানি শুল্ক বাবদ ২৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক বাবদ সাত হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বাবদ ৩১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা এবং রফতানি শুল্ক বাবদ ৫১ কোটি টাকা আদায়ের টার্গেট নিয়েছে।
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরভিত্তিক রাজস্ব আদায়কারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের নৌ-বাণিজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ কন্টেইনার এবং ৯২ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডলিং হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে রাজস্ব আহরণও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।