পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলামে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৬০ টাকা। গাড়িটির দর উঠেছে মাত্র ৫৩ লাখ টাকা। বিশ্বখ্যাত ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। সবচেয়ে দামি এই ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ি দর পড়েছে ১২ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা। শীর্ষ দর পাওয়া চারটি গাড়িই বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। বিশ^খ্যাত ব্র্যান্ডের ওই দুই ধরনের গাড়িসহ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলে। এরমধ্যে ১১০টি গাড়ি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ক্রেতারা।
পর্যটন সুবিধায় আনা এসব বিলাসবহুল গাড়ি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। এসব গাড়ির বেশিরভাগই ১৫ থেকে ২৬ বছরের পুরনো। গত ৩ থেকে ৪ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫৫১ নিলামকারী দরপত্রে অংশ নেয়। সোমবার ১১০ গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা প্রকাশ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার, লেক্সাস, টয়োটা, ফোর্ড, হোন্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি এসব গাড়ি (জিপ ও কার) নিলামে তোলা হয়। এখন নিলামের দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দেওয়া যৌক্তিক দর পর্যালোচনার পর বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ১১২টি গাড়ির জন্য এবারে সংরক্ষিত দর ছিল ১৮০ কোটি টাকা। গাড়ির আমদানি মূল্য ও অবচয় সুবিধা ধরে শুল্কসহ মোট দাম ধরা হয় সংরক্ষিত মূল্য হিসেবে। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে বিএমডব্লিউ ২৮টি, মার্সিডিজ বেঞ্জ ২৪টি, ২৩টি মিতসুবিশি, ল্যান্ডরোভার ১২টি, লেক্সাস ৯টি, টয়োটা ৪টি। এবারে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের ফারজানা ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ দর দিয়েছে। একই মডেলের আরেকটি একটি গাড়ির দাম ওঠে ৫০ লাখ টাকা। মিতসুবিশির একটি গাড়ির দাম একটি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। অন্য সময়ে নিলামে ল্যান্ডরোভার গাড়ির দর বেশি উঠলেও এবার ওই ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম ওঠে মাত্র ২৮ লাখ টাকা।
পঞ্চমবারের মতো নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হয়। কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, এবারের নিলামে দরদাতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। যৌক্তিক দর পর্যালোচনা করে গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না, সেগুলো আবারও নিলামে তোলা হবে।
সাধারণত প্রথম নিলামে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি না হলে বিক্রির অনুমোদন দেয় না কাস্টমস। তবে দ্বিতীয় নিলামে প্রথম নিলামের চেয়ে বেশি দর এবং তৃতীয় নিলামে যেকোনো দর অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ আছে কাস্টমসের। এবার যেহেতু পঞ্চম নিলাম, তাই যেকোনো দর অনুমোদন দিতে পারে কাস্টমস। নিলামে যাদের অনুমোদন দেওয়া হবে, তাদের গাড়ি খালাসে ১৭ শতাংশ কর দিতে হবে। আবার যেসব গাড়ি পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো অবস্থায় আমদানি হয়েছে, সেগুলোর জন্য লাগবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।