নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটের কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেননি। দীর্ঘ দিন পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন দিয়ে মাঠে ফিরেই গড়লেন ইতিহাস। মাত্র তৃতীয় লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলতে নেমে ৮ উইকেট নিয়ে গড়লেন দেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। ইয়াসিন আরাফাত মিশুর বিধ্বংসী বোলিংয়েই মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে আবাহনী। আর এই দারুণ জয়ে সুপার সিক্সের আশাও উজ্জল করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রæপ।
দলীয় তৃতীয় ওভারে পেস আক্রমণ দিয়ে সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে ধ্বংসলীলা শুরু করেন ইয়াসিন। একই ওভারে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকেও। একে একে তার শিকার হন নাসির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মনন শর্মা, মাশরাফি মর্তুজা, নাজমুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম সবুজ। সব মিলে তার বোলিং ফিগার ছিল ৮.১-১-৪০-৮। বাংলাদেশের হয়ে তো বটেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও যা সেরা বোলিং ফিগার। ৭ উইকেটের আগের রেকর্ডটি ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। সারা বিশ্বে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেই ৮ উইকেট শিকারের রেকর্ড আছে মাত্র ১১টি। সব মিলে তার এই বোলিং অষ্টম সেরা। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মনন, মিথুন করেন ৪০। পাঁচ ব্যাটসম্যানই আউট হন শূন্য রানে।
জবাবে ২২ রানে গাজীর দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন মাশরাফি ও সন্দিপ। কিন্তু অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ও পাকিস্তানের ফাওয়াদ আলমের অবিচ্ছিন্ন ৯২ রানের জুটিতে শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে গাজীই। দশম রাউন্ড শেষে পঞ্চম জয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে উঠে এসেছে গাজী। ৭ জয়ে আগেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করে আবাহনী।
মিরপুরে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রাইমের বোলিং তোপে ১ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২৫১ রান করে শাইনপুকুর। জবাবে টপঅর্ডারদের দৃড়তায় ২০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে প্রাইম। দশম রাউন্ড শেষে দু’দলেরই জয় ৫টি করে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে শাইনপুকুর চারে, পাঁচে প্রাইম ব্যাংক। সুপার সিক্সের লড়াইটাও জমে উঠেছে বেশ।
বিকেএসপিতে আসরের ছষ্ঠ জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রনী ব্যাংককে তারা হারায় ৩ উইকেটে। ১০২ রানে ৬ উইকেট হারানো অগ্রণী ৫০ ওভার শেষে আর একটি উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২০৩ রান। যা ‘দশে মিলে’ ২২ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় দোলেশ্বর। বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ৪১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানি স্পিন অল রাউন্ডার জোহাইব খান। ১০ ম্যাচে সপ্তম পরাজয়ে অবনমন শঙ্কায় অগ্রণী।
সংক্ষি প্ত স্কো র
আবাহনী-গাজী গ্রুপ
আবাহনী : ২৬.১ ওভারে ১১৩ (এনামুল ১০, মিঠুন ৪০, মনন ৪৬; আরাফাত ৮/৪০, টিপু ২/২৩)।
গাজী গ্রুপ : ২৯.৫ ওভারে ১১৪/২ (জহুরুল ৫২*, মেহেদি ১০, ফাওয়াদ ৩৯*, মাশরাফি ১/১৮, সন্দীপ ১/১৯)।
ফল : গাজী গ্রপ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ইয়াসিন আরাফাত (গাজী গ্রুপ)।
শাইনপুকুর-প্রাইম ব্যাংক
শাইনপুকুর : ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ (সাদমান ৪৪, সাব্বির ২৬, কাউল ৫২, হৃদয় ৩৯; নাহিদুল ১/২২, শরিফুল ৩/৪৬, দেলোয়ার ১/৪৪, এনামুল জুনিয়র ২/৪৭)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৬.৪ ওভারে ২৫২/৫ (মারুফ ৪১, আল-আমিন জুনি. ৩৫, নাহিদুল ৭৩*, ইউসুফ ৩২, দেলোয়ার ২৪*; নাঈম জুনি. ২/৪৯, রায়হান ২/৫২)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নাহিদুল ইসলাম (প্রাইম ব্যাংক)।
অগ্রণী ব্যাংক-প্রআম দোলেশ্বর
অগ্রণী ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২০৩/৭ (আজমির ৩০, শামসুল ৬৪*, আহসান ৪৬; শরিফউল্লাহ ৩/৩৫, জোহাইব ৩/৩৭, মামুন ১/২৪)।
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৬.২ ওভারে ২০৪/৭ (মার্শাল ৪২, ফরহাদ ৪৯, জোহাইব ৪১; শফিউল ২/২৫, রাজ্জাক ২/৩৪, আহসান ১/২৭, জাভেদ ১/১৫)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : জোহাইব খান (প্রাইম দোলেশ্বর)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।