প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন রিপোর্ট: শাকিব কি কলকাতায়ই থিতু হতে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন এখন চলচ্চিত্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর কারণ, কলকাতায় তার ফ্ল্যাট কেনা এবং প্রায় সারা বছরই সেখানে সিনেমার শূটিং ও বিভিন্ন মঞ্চে নাচ-গান করে বেড়ানো। আবার অনেকে বলছেন, শাকিবের মাধ্যমে যৌথ প্রযোজনার নামে সেখানের সিনেমা বাংলাদেশে চালানো। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কলকাতার নির্মাতাদের সিনেমা তাদের বাজারেই ব্যবসা করছে না। তাই তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য শাকিবকে নিয়ে বাংলাদেশের বাজার ধরার চেষ্টা করছেন তারা। বিশেষ করে যৌথ প্রযোজনার শিকারী ও নবাব সিনেমা দুটি বাংলাদেশে কিছুটা ব্যবসা করার পর সেখানের নির্মাতারা শাকিবকে এদেশের বাজার ধরার জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। শাকিবও তাদের এই কৌশল সানন্দে গ্রহণ করে চলেছেন। যদিও বিগত দুই বছরে কলকাতার দর্শকের কাছে শাকিব আশানুরুপ সাড়া পাননি। ফলে কলকাতার নির্মাতারা তাকে নিয়ে বাংলাদেশের বাজার ধরার কৌশল হিসেবে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে চলেছেন। তবে এবার যৌথ প্রযোজনার সিনেমা হিসেবে নয়, সাফটা চুক্তির মাধ্যমে শাকিব অভিনীত কলকাতার সিনেমা বাংলাদেশে রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েই সেখানের নির্মাতারা সিনেমা নির্মাণ করছেন। কারণ যৌথ প্রযোজনার নতুন নিয়মাবলী যুক্ত হওয়ায় যথেষ্ট নিয়মকানুন মানতে হয়। তাই শাকিবকে নিয়ে কলকাতার সিনেমাগুলো বাংলাদেশে আসবে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে স¤পাদিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি সাফটার আওতায়। এর অর্থ হচ্ছে, শাকিবকে বাংলাদেশের দর্শকরা দেখবেন আমদানিকৃত সিনেমার মাধ্যমে। কলকাতা বাংলাদেশের নায়ককেই বাংলাদেশে রপ্তানি করবে। অথচ এই চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন শাকিব নিজে। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন তিনি। সেই শাকিবই এখন এ চুক্তির অওতায় নিজ দেশে রপ্তানি হতে যাচ্ছেন। এতে দেশের স্বার্থ বিসর্জিত হলেও শাকিব নিজ স্বার্থকে বড় করে দেখছেন বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশেও শাকিবের বাজার বহুদিন ধরেই পড়তির দিকে। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘আমি নেতা হব’ চরমভাবে ফ্লপ করেছে। প্রযোজক মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন। এ প্রেক্ষিতে, কলকাতায় শাকিবের অভিনীত সিনেমা আমদানির মাধ্যমে মুক্তি দিয়ে সাফল্য পাওয়া খুবই কঠিন। তারপরও নিজের স্বার্থে তিনি কলকাতার সিনেমা করছেন। কারণ কলকাতার সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি পেয়ে লস হলেও তার ক্ষতি নেই। তবে এতে দেশের সিনেমা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ বিষয়টি শাকিব মাথায় নিচ্ছেন না। আমদানি করা সিনেমা মুক্তি পাওয়া মানেই দেশের সিনেমা মুক্তি কমে যাওয়া। নির্মাতাদেরও বঞ্চিত হওয়া। এসব কোনো কিছুই আমলে নিচ্ছেন না শাকিব। বরং নিজের দেশের নির্মাতাদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করে নিজেকে প্রবাসী করে তুলেছেন। কারণ হচ্ছে, দেশীয় কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমা তার হাতে এখন নেই। নিজেও প্রযোজনা করছেন না। ফলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শাকিব কলকাতার সিনেমায়ই থিতু হতে চাচ্ছেন। তবে সেখানে কতদিন টিকতে পারবেন, এ প্রশ্নও উঠেছে। তাকে নিয়ে বাংলাদেশের বাজার ধরার জন্য কলকাতার নির্মাতাদের যে মিশন, তা যদি ব্যর্থ হয়, তবে তাকে ছুঁড়ে ফেলতে বেশি সময় নেবে না তারা। এর কারণ হচ্ছে, দেশের নায়কের বিদেশের সিনেমাও অভিনয় এবং তা আমদানি করে দেখার বিষয়টি দর্শক সহজে মেনে নেবেন, এমনটি মনে করার ভিত্তি নেই। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা শাকিব ও কলকাতার শুভশ্রী অভিনীত চালবাজ সিনেমাটিকে যৌথ প্রযোজনার বলা হলেও। এখন শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় সিনেমা হিসেবে এপ্রিল মাসে কলকাতায় মুক্তি পাবে। পরে সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে মুক্তি পাবে। প্রথমে সিনেমার পরিচালক হিসেবে কলকাতার জয়দীপ মুখার্জী ও বাংলাদেশের অনন্য মামুনের নাম শোনা গেলেও স¤প্রতি সিনেমাটির ট্রেলারে মামুনের নাম দেখা যায়নি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রিভিউ কমিটি থেকেও যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র হিসেবে অনুমতি পায়নি সিনেমাটি। ফলে এটি সাফটা চুক্তির আওতায়ই বাংলাদেশে মুক্তি পাবে। এছাড়া শাকিব এবং কলকাতার সায়ন্তিকা ও নুসরাত জাহানকে নিয়ে মাস্ক নামে একটি সিনেমা কলকাতার বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস নির্মাণ করবে। সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশেও সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এর বাইরে শাকিব আরও দুটি সিনেমাতে কাজ করছেন শুভশ্রী ও সায়ন্তিকাকে নিয়ে। শ্রাবন্তীকে নিয়ে অভিনয় করছেন ভাইজান এলো রে নামের একটি সিনেমায়। এটিও সাফটায় আসবে। কলকাতায় শাকিবের এ ব্যস্ততার কারণেই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন শাকিব সেখানেই স্থায়ী হতে চলেছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সাফটার আওতায় আসা ভারতের কোনো সিনেমাই বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারেনি। এ বিবেচনায় বলা যায়, কলকাতার সিনেমায় শাকিব থাকলেও তা যে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারবে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।