গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক দখল করে দাবি আদায়ের কর্মসূচি নিয়মিত চলছে, এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়ছে।
প্রতিদিন পেশাজীবী সংগঠনগুলো তাদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে রাস্তা দখল করে কর্মসূচি পালন করে থাকে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ চিত্র প্রতিদিনের। বিভিন্ন সংগঠন এখানে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি পালন করছে। রাস্তা দখন করে কর্মসূচি পালন করায় পল্টন-মতিঝিল-গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ীগামী শত শত গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকা পড়তে হয়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। আর এতে নীরব রয়েছে ডিবি পুলিশ।
আজ বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালনের কারণে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, কাকরাইল, বিজয় নগর, প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান ও দৈনিক বাংলার মোড়ে যানবাহনের উপচে পড়া ভিড়। থেমে থেমে চলছে গাড়িগুলো। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হবে এ কারণে অনেকে হেঁটে রওনা হন। যানজট আর গরমে অসুস্থবোধ করেন অনেকে।
‘বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে গাড়ি একটুও সামনে এগোচ্ছে না’ বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে শাহবাগের উদ্দেশে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু দৈনিক বাংলার মোড়ে প্রায় আধা ঘণ্টা গাড়িতে বসেছিলাম। পল্টন মোড়ে এসে দেখি প্রেস ক্লাবের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে বিজয়নগরমুখী সড়কে বাস ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে ওই সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। কোনো উপায় না দেখে বাস থেকে নেমে শাহবাগের দিকে হাঁটা দিয়েছি।
তিনি বলেন, রাজধানীতে নির্বিঘ্নে চলাচলের সড়ক নেই বললেই চলে। এর ওপর সড়কগুলো দখল করে পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি পালন করায় তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কেন তাদের সড়কে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হয়? এগুলোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দিতে পারে সরকার।
যানজটে আটকে থাকা বাসচালক আসলাম বলেন, এক ঘণ্টা ধরে এক জায়গায় বসে আছি। চুক্তিভিত্তিতে গাড়ি চালাই। দিন শেষে নির্দিষ্ট অংকের টাকা মালিককে জমা দিতে হয়। যানজটের যে অবস্থা আজ, মনে হচ্ছে নিজের পকেট থেকে টাকা জমা দিতে হবে।
‘সমাবেশ করবে করুক, কোনো সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়েই তো করতে পারে। রাস্তার ওপর সমাবেশ করলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাদের কারণে আমাদের কেন ভোগান্তিতে পড়তে হবে?’- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জামান নামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘একটি কাজে বের হয়েছিলাম। এক ঘণ্টা বসে থেকে আবার অফিসে ফিরে যাচ্ছি। আমাদের ভোগান্তি দেখার তো কেউ নেই!’
চাকরি জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করছে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি। অন্যদিকে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার দক্ষিণ পাশে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন সারা দেশের বিভিন্ন পৌরসভা থেকে আগত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।