নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাত্র একটি জয় দলের উপর যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা এই বাংলাদেশকে দেখেই বোঝা যায়। গতকাল অনুশীলনে খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে এমনকি দেহভঙ্গিতে ছিল আত্মবিশ্বাসের স্পষ্ট ছাপ। এই অত্মবিশ্বাস নিয়েই আগামীকাল ভারতের মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহর দল।
অনুশীলনের ফাঁকে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আগের ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বলে ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ২১৫ রানের রেকর্ড টপকে বাংলাদেশকে জেতান তিনি। ঐ ম্যাচের পর ‘মুশফিকও ছক্কা মারতে পারেন!’, মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন বিসিবি প্রধাণ নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল এ সম্পর্কে মুশফিকের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে হেসে দেন তিনি। সেই হাসির অবশ্য অনেক অর্থই থাকতে পারে। দলের অভিভাবক তো অনেক কথাই বলতে পারেন।
বিসিবি প্রধানের এমন মন্তব্য অবশ্যই রসবোধের জন্ম দেয়। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৭টি ছক্কা মুশফিকের। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে কজন ক্রিকেটোর দর্শনীয় ক্রিকেটীয় শট খেলতে পারেন মুশফিক তাদের মধ্যে একজন। অথচ তাকে নিয়েই কিনা পাপন মন্তব্য করেন, “তামিম-সৌম্য যে মারতে পারে, এটা আমাদের জানা ছিল। লিটন যে মারতে পারে, জানা ছিল না। মুশফিক তো না-ই। সত্যি বলতে, মুশফিককে সবার সামনে কালকেও বলেছি, ‘তুমি যে এরকম মারতে পারো, আমি জানিই না!’ গত এক-দেড়-দ্ইু বছর যদি দেখেন, মুশফিক ছয় মারতে গেলে বাউন্ডারিতে আউট হয়। আমি সবসময় বলি যে ও ছয় মারার খেলোয়াড় না।”
পাপনের এই মন্তব্যের জবাবে গতকাল মুশফিকের সরস পাল্টা মন্তব্য, ‘এই ইনিংসের পর হয়ত উনি ভাববেন যে আমি পারি, আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো উনি অন্যরকমভাবে আমার খেলা দেখেছেন। গত ২-৩ মাস আমরা যতটা কঠোর পরিশ্রম করেছি, সেটার ফল মিললে একটা ভালো লাগা থাকেই। হয়তো অনুশীলন উনি দেখেননি। ম্যাচে সেটা কাজে লেগেছে। তো দেখা যাক...।’
তবে বিসিবি প্রধাণের শংশয় থাকলেও নিজেকে নিজের উপর আস্থা ছিল মুশফিকের। পরের কথাতেই তা জানিয়ে দিলেন দেশ সেরা অন্যতম ব্যাটসম্যান, ‘নিজের ওপর বিশ্বাস থাকতে হয়। নিজের ওপর বিশ্বাসটা না থাকলে কেউ ভালো করতে পারবে না। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। যে কোনো ব্যাটসম্যান এ রকম একটা ইনিংস খেলবে, এটাই স্বাভাবিক। সেটা আমি পেরেছি বলে খুশি।’
নিজের উপর বিশ্বাস এখন কেবল মুশফিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দলে। এখন দেখার পালা এই অত্মবিশ্বাস কাল ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা কাজে লাগাতে পারেন কিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।