Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘুষ নিয়ে কেরাণী ও দলিল লেখকদের মধ্যে উত্তেজনা

দিশেহারা সাব-রেজিস্ট্রার

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা : বরগুনার আমতলীতে দেড় পার্সেন্ট ঘুষ নিয়ে কেরানী ও দলিল লেখকদের মধ্যে উত্তেজনায় সাব-রেজিস্টার দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর যাবৎ এই ঘুষের পরিমান ছিল এক পার্সেন্ট।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ আমতলীতে জনাব মোঃ মাসুম ফুলটাইম সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। এ উপজেলায় ইনিই সর্বপ্রথম বিসিএস ক্যাডার ভূক্ত গেজেটেড সাব-রেজিস্টার অফিসার। ইতিপূর্বে যারা সাব-রেজিস্টার ছিলেন সবাই ছিলেন নন-গেজেটেড পার্ট টাইমার। জনাব মো: মাসুম এখানে যোগদান করে দেখতে পেলেন কেরানী ও দলিল লেখকদের জাল-জালিয়াতির তেলেসমাত। তাই তিনি দলিল রেজিস্ট্রির কাজে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সত্যতা যাছাই কল্পে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার, তহশিলদার ও কর্মচারীদের নমুনা স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। অতপর দলিল রেজিস্ট্রির সময় পরিচয় পত্র, মিউটেশন, সইমহর পর্চা, রাখাইনদের জমি বিক্রির পারমিশন পত্র, দাখিলা ইত্যাদির স্বাক্ষর নমুনা স্বাক্ষরের সাথে মিলিয়ে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বায়া দলিলের নম্বর রেকডীয় মালিকের নাম-ধাম, দাতা-গ্রহিতা ছবির সাথে মিলিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি শুরু করেন। এ সমস্ত কড়া-কড়ি নিয়ম আরোপের ফলে সাব-রেজিস্টার অফিসের কেরানী ও দলিল লেখকদের অবৈধ উপার্জনে ভীষণ ঘাটতি দেখা দেয়। তাছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনৈতিক সুপারিশ অনুযায়ী কাজ না করায় তাদের সাথে ভয়ানক মতানৈক্য শুরু হয়। সম্প্রতি চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান ৪টি দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য পাঠালে কাগজ-পত্র ঠিক না থাকায় ১টি দলিল ফেরৎ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জনাব বাদল খান তার দলবলসহ মারমুখি হয়ে সাব-রেজিস্টার অফিসে চড়াও হন এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্টারকে অশালিন ভাষা, গালি-গালাজ ও দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এ সময় পেশকার মিজানুর রহমান মধ্যস্ততা করতে গেলে তাকেও মা-বাবা তুলে গালি-গালাজ ও নাজেহাল করে। এই সুযোগে এসআর অফিসের কেরানী আশালতা সরকার প্রতিটি দলিলের বহায় মূল্যের উপর প্রচলিত এক পার্সেন্টের স্থলে দেড় পার্সেন্ট ঘুষ আদায়ের নিয়ম চালু করলে দলিল লেখকদের মাঝে অসন্তোষ দানা বেধে উঠে। তারা অপপ্রচার চালাতে থাকে যে, সাব-রেজিস্টার বিভিন্ন রকম কড়া-কড়ি আরোপের পরও দেড় পার্সেন্ট করে ঘুষ নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করছেন। এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্টার জনাব মোঃ মাসুম এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি নিজে ঘুষ খাই না। খোজ নিয়ে জানতে পারেন, ইতিপূর্বে যেখানে ছিলাম, সেখানেও ঘুষ খাইনি। কখনোই আমি ঘুষ পছন্দ করি না। দলিল লেখকদের মধ্যে দেড় পার্সেন্ট ঘুষ আদায় নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি আমিও অবগত এবং কিংকর্তব্য বিমূঢ়। কিন্তু কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দাখিল করছে না। লিখিত কোন অভিযোগ দাখিল করলে অবশ্যই আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেজিস্ট্রার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ