পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টে। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) বুধবার রিট করে এ নির্দেশনা চায়। রিটে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন বিধানে নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়। ব্লাস্ট’র পক্ষে ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলি রিটটি ফাইল করেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার শিউলী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ২০০৯ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন বিধানের ২০১৩ সালের সংশোধনীতে বলা আছে, যদি কোনো নিকাহ রেজিস্ট্রার মারা যান সেই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার পুত্র সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন। ওই বিধানে তার কন্যার যদি কাজী হওয়ার সব যোগ্যতা থাকে তবুও তার নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। আমরা মনে করি এ বিধানে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয়েছে। এ কারণে বিধানটি আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। কারণ বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না-মর্মে ইতিপূর্বে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আমরা রিটে কাজী নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সবার সমান সুযোগ রাখার নির্দেশনা চেয়েছি। আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট রিটে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানান ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী।
এর আগে গত বছরের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই মর্মে রায় দেন যে, বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না। ওই রায়ের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে এখন আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।