পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত বছর ৭৩ দিনের মুখোমুখি অবস্থানের পর ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে আরেকটি অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে ডোকলামে। ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত একটি গোয়েন্দা রিপোর্টের মতে, ২০১৭ সালে ভারত ও চীনের সৈন্যবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিল এমন একটি স্থানের ৪ কিলোমিটার পূর্ব দিকে একটি রাস্তা নির্মাণ করছে চীনা পিপলস আর্মি (পিএলএ)।
চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত চুম্বি উপত্যকায় ৯-১০ মিটার প্রশস্ত রাস্তার পাশে পিএলএ তিনটি হেলিপ্যাডও নির্মাণ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী স্ট্যান্ড-অফ পয়েন্ট থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরত্বে চীনা সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং তা বটং লা, মারুগ লা এবং সিনচ লা রেজিতে সম্প্রসারিত করছে।
উত্তর ডোকলামে চীন ৪ জনের জন্য ৪শ’রও বেশি এবং ৪০টি ২ জনের থাকার মতো তাঁবু স্থাপন করেছে, ৬০টি পূর্বে প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র, ১১০টি বাঙ্কার এবং ২০টি বুলডোজার স্থাপন করেছে। এছাড়া, পিএলএ কর্তৃপক্ষ ৬০টি যোগাযোগের খাত খনন এবং ১০টি মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করেছে যা ২৪ ঘণ্টা সদর দপ্তরে তথ্য প্রদান করছে। পিএলএ ৯ ফেব্রæয়ারি দুটি হেলিকপ্টার চিংডিং-নিংলুং নল্লা ট্র্যাক জংশনের মধ্য দিয়ে লাদাখে প্রবেশ করে এবং সরে যাবার আগে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে। ১০ ফেব্রুয়ারী চীনের একটি গোলাবারুদ পার্টি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইনের কাছে অবস্থিত ডেপস্যাং প্লেইন এলাকায় ১৯ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে, কিন্তু ভারতীয় সৈন্যরা প্রতিরোধ গড়লে তারা ফিরে যায়। ৩ ও ৮ ফেব্রæয়ারী চীনের সৈন্যরা লাদাখের কৌশলগত ত্রিগোনোমেট্রিক হাইটে ৭ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছিল।
১২ ফেব্রæয়ারি পিএলএ ডিচুয়ার মাধ্যমে ২৫০ মিটার অরুণাচল প্রদেশে অনুপ্রবেশ করে। ভারতীয় সৈন্যদের মুখোমুখি হওয়ার পর সৈন্যরা ফিরে আসে। তিব্বতে চীনা সেনাবাহিনী মোতায়েন, ভারী সরঞ্জাম স্থাপন এবং সিকিমের নিকটবর্তী জিয়ান্তস সামরিক ক্যাম্পে ১৩০টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। বেইজিং ৫৪তম মেকানিক্যাল ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, দু’টি আর্টিলারি ব্যাটেলিয়নস এবং লাসায় একটি বিমান বাহিনী ব্যাটালিয়ন স্থাপন করেছে। ভারত থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের খাম্বা ঝং এলাকায় পিএলএ ১৪০টি তাঁবু এবং ৯০-৯৬টি ছিটমহলের তাঁবু, একটি আর্টিলারি ইউনিট এবং ৪০-৫০টি যানবাহন সরঞ্জাম ইউনিট স্থাপন করেছে। এছাড়া চীনের দাতং কাউন্টিতে এক ডিএফ-৩১ মিসাইল ব্রিগেড এবং ৮টি জিয়ান জেএইচ-৭ জঙ্গি বোমারু ও কাশি বিমানবন্দরে ৬টি শেনায়াং জে-১১ স্থাপন করেছে।
পিএলএ এছাড়াও বিমানবন্দরে সামরিক মহড়ার সময় গত বছর তিব্বতে পরীক্ষিত এইচকিউ-৯ এবং এইচকিউ-১২ এসএএম সিস্টেম ব্যাটারি র্যাডার্স স্থাপন করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামান গত মঙ্গলবার চীনের হেলিপ্যাড নির্মাণের বিষয়টি লোকসভার কাছে নিশ্চিত করেছেন। ‘ভারতকে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এটি নিশ্চিত করেছেন। ভুটান ভারতের ওপর নির্ভরশীল। চীন আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখতে চায়, ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজ্যসভা সদস্য সুব্রামানিয়াম স্বামী।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস সদস্য রেণুকা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, ‘তিনি যদি দাবি করেন যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করলে আমরা পাকিস্তানের ১০০ জন সৈন্যকে মেরে ফেলব। নেপাল বা শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধু নয়। সরকার কি পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন? মোদি যেন কম কথা বলেন এবং কাজ বেশি করেন’।
তিনি আরও বলেন, যখন বিজেপি সরকার কংগ্রেসের অর্জন বিষয়ে প্রশ্ন করে তখন তাদের জানতে হবে, কংগ্রেস ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা করেছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।