Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করবে বলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সিমুকে

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পালাক্রমে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে দশ বছর বয়সী মাদ্রাসার ছাত্রী শিশু সিমু আক্তারকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া লম্পট বাচ্চু মিয়া (৫০) ও আমির হামজা (৩৫)। সিমু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জের নাথের পেটুয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো.জামির হোসেন জিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক ইনকিলাবকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামের কৃষক সাইদুল হকের ঘরের খাটের নিচ থেকে তার মেয়ে সিমু আক্তারের ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। শিশু সিমু স্থানীয় হাতিমারা মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে, এই ঘটনায় ওইদিন রাতে বাচ্চু মিয়াকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সিমুর পিতা সাইদুল হক। বাচ্চু মিয়া একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। সে পাশের নাথেরপেটুয়া বাজারে বিকেল বেলায় ফুতপাতে হালিম বিক্রি করতো। ঘটনার পর পুলিশ প্রথমে বাচ্চু মিয়াকে আটক করে বুধবার সকালে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমতে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় একই গ্রামের মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে আমির হামজাকে। আমির গ্রামের ধান খেতে পানি সেচের ব্যবসা করতো বলে জানা গেছে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো.জামির হোসেন জিয়া বলেন, ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজা কৃষক সাইদুলের বাড়িতে প্রবেশ করে। ওই কৃষকের স্ত্রী সিলেটে থাকায় তাদের টার্গেট ছিলা সাইদুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া মেঝ মেয়ে ১৭ কে ধর্ষণ করা। কিন্তু সে তখন স্কুলে ছিল। বাড়িতে সেসময় একাই ছিল সিমু। বাড়িতে প্রবেশ করে বড় মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে ওই শিশুর দিকেই চোখ পড়ে দুই লম্পটের। পরে তারা দু’জনে মেয়েটিকে জোরকরে ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। দুই লম্পটের ধর্ষণের পর শিশু মেয়েটি খুবই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং সে বলে এই ঘটনার তার বাবাকে বলে দিবে। এ কথা বলার সাথে সাথেই ঘর থেকে বটি নিয়ে বাচ্চু শিশুটির মুখে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে দা হাতে নিয়ে আমির হামজাও কুপিয়ে মেয়েটিকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে।
ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাচ্চু বুধবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় এই ঘটনার অপর হোতা আমির হামজাকে। আমির হামজাও প্রাথমিকভাবে এসব ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ