পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের ব্যবস্থা করছে সরকার।দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করবে। এ সব ভবনে ৯৮২ বর্গফুট আয়তনের প্রায় আট হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পের চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্ল্যটের মালিকানা সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারন অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) ড. শামসুল আলম, আইএমইডির সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্যসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বৈঠকে মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটি সম্পূর্ণ নতুন। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৭ হাজার ২৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার যোগান দেয়া হবে। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে অবশিষ্ট ৪৪০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, একনেক বৈঠকে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্ল্যাট দেয়ার জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্ল্যাট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর সন্তানদের মধ্যে ফ্ল্যাটের উত্তরাধিকার নির্ধারণে এ নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকদের আবাসন সুবিধা দেয়া হলেও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা এ সুবিধা হতে বঞ্চিত থেকে যান। বয়োজ্যেষ্ঠ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা উপার্জনক্ষম না হওয়ায় তাদের পক্ষে ভাড়া খরিদ বা এককালীন অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করে পিছিয়ে পড়া অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রকল্পের আওতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৪টি এবং চার ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৮টি অর্থাৎ মোট ৫৩২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৯৮২ বর্গফুট। এতে ৩টি বেড রুম, ১টি ড্রইং কাম ডাইনিং রুম, ২টি বাথরুমসহ বারান্দা থাকবে। তবে যেসব জেলা বা উপজেলায় ৩ বা ততোধিক ভবনের প্রয়োজন হবে সেখানে আবাসন কমপ্লেক্স নির্মাণ করে অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে। খাস জমির উপর ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
৬৮৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। গ্রামীণ ও নগর অঞ্চলে জনগণের জীবন মানোন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হতে সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনজীবন ও সম্পদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ তথা প্রকল্প এলাকায় গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরী।
সুপ্রীম কোর্টের স¤প্রসারণের লক্ষ্যে ১২ তলা বিশিষ্ট নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় বিচারকদের জন্য অতিরিক্ত ৪০টি এজলাস নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রীম কোর্টে প্রধান বিচারপতিসহ ৯৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। অথচ এজলাস রয়েছে মাত্র ৬২ টি। এর ফলে একটি চেম্বারে দুই জন বিচারপতি বসতে বাধ্য হচ্ছেন। মামলাজট নিস্পত্তির লক্ষ্যে হাইকোর্ট ডিভিশনে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ফলে চেম্বার ও এজলাস স্বল্পতা আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অনুমোদন পাওয়া বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর- কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকলে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর বাইরে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচির (সিভিডিপি) তৃতীয় পর্যায় ও গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।