প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডস সবসময়ই আলাদা। আর ৩৮তম আসরের গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডস বেশ কয়েক দিক থেকে আগের থেকে আলাদা। রটেন টম্যাটোসের সৌজন্যে এবার ‘এতোটাই পচা (রটেন) ফিল্ম যেটি আপনার ভাল লেগেছে’ বিভাগে র্যাযি পেয়েছে ‘বেওয়াচ’। টাইলার পেরি পুরুষ হলেও র্যাযি পেয়েছেন নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী বিভাগে; তিনি এই নিয়ে দশমবারের মত ম্যাডিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ‘বু টু! আ ম্যাডিয়া হ্যালোইন’ ফিল্মে। ৬৯ শতাংশ রটেন টম্যাটোস এবং ৭৫/১০০ মেটাক্রিটিক রেটিং পেয়েও তিনটি মনোনয়ন পেয়েছে ‘মাদার!’।
এবারে র্যাযি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘দি ইমোজি মুভি’। পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে র্যাযি পেয়েছে চারটি। নয়টি বিভাগে মনোনীত হয়ে শেষ পর্যন্ত দুই বিভাগে র্যাযি পেয়েছে ‘ফিফটি শেডস ডার্কার’। ‘ট্রান্সফর্মার্স : দ্য লাস্ট কিং’ ১০ বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সৌভাগ্যক্রমে একটিও র্যাযি পায়নি।
যে সন্ধ্যায় অস্কার দেয়া হয় ঠিক তার আগের দিন দেয়া হয় গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডস, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় র্যাযিস বা জিআরএ। অস্কারের একেবারে বিপরীত উদ্দেশ্য এটির। অস্কার যেমন দেয়া হয় উৎকৃষ্টতার স্মারক হিসেবে র্যাযিস দেয়া হয় নিকৃষ্টতার স্বীকৃতি হিসেবে।
বলাই বাহুল্য অস্কারে যেমন তারার মেলা বসে এখানে ঠিক তার বিপরীত। সাধারণত কোন তারকা উপযাচক হয়ে এই অবমাননাকর পুরস্কার (!) নিতে এখানে আসে না। তবে একেবারে যে আসে না তাও নয়। বেশ কয়েকজন তারকা এর প্রহসন-মূল্য বুঝতে পেরে হাজিরা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন টম গ্রিন (নিকৃষ্টতম অভিনেতা ও পরিচালক), হ্যালি বেরি (নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী), স্যান্ড্রা বুলক (নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী), মাইকেল ফেরিস (নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য), জো এস্টারহাস (নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য) এবং পল ভারহোভেন (নিকৃষ্টতম পরিচালক)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯৯৮ সালে ব্রায়ান হেলগেল্যান্ড এবং ২০১০ সালে স্যান্ড্রা বুলক র্যাযিস গঞ্জনা লাভের পরের সন্ধ্যায়ই অস্কার পেয়েছিলেন, তবে অন্য চলচ্চিত্রের জন্য। গতবার র্যাযিস পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করে নজির সৃষ্টি করেছেন ‘হিলারি’স অ্যামেরিকা’ পরিচালক অভিনেতা দীনেশ ডি’সুজা। তার চলচ্চিত্রটি ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চলচ্চিত্র, যেটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ধারায় নির্মাণ করা হয়েছে।
- নিকৃষ্টতম চলচ্চিত্র : ‘দি ইমোজি মুভি’।
- নিকৃষ্টতম পরিচালক : টোনি লিয়ন্ডিস (‘দি ইমোজি মুভি’)।
- নিকৃষ্টতম অভিনেতা : টম ক্রুজ (‘দ্য মামি’)।
- নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী : টাইলার পেরি (‘বু টু! আ ম্যাডিয়া হ্যালোইন’)।
- নিকৃষ্টতম পার্শ্ব অভিনেতা : মেল গিবসন (’ড্যাডিস হোম টু’)।
- নিকৃষ্টতম পার্শ্ব অভিনেত্রী : কিম বেসিঙ্গার (‘ফিফটি শেড্স ডার্কার’)।
- নিকৃষ্টতম পর্দা সমন্বয় : যে কোনও দুটি ইমোজি (‘দি ইমোজি মুভি’)।
- নিকৃষ্টতম প্রিকুয়েল, রিমেক, রিপ-অফ (নকল) এবং সিকুয়েল : ‘ফিফটি শেড্স ডার্কার’।
- নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য : ‘দি ইমোজি মুভি’ (চিত্রনাট্যকার : টোনি লিয়ন্ডিস, এরিক সিগেল এবং মাইক হোয়াইট)।
- র্যাযিস রিডিমার অ্যাওয়ার্ড (যে আগেও এই পুরস্কার পেয়েছে) : এই বিভাগে কোনও ফিল্ম নির্বাচিত হয়নি।
- ব্যারি এল. বামস্টেড অ্যাওয়ার্ড (বাণিজ্যিক বা সৃজনশীল ব্যর্থতার জন্য) : ‘চিপ্স’; নির্মাণ ব্যয়- ২৫ মিলিয়ন ডলার, সংগ্রহ- ১৮.৫ মিলিয়ন ডলার।
‘ইমোজি’ চারটি র্যাযি পেয়েছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।