Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফিরে দেখা স্বাধীনতার মাস

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন : আজ ৩ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনটি ছিল বিক্ষোভে উত্তাল। অগ্নিঝরা মার্চের উত্তাপ ছড়াতে থাকে দেশব্যাপী। ’৭১-এর এইদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের মতো সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতাল পালন এবং মুক্তি আশায় বাঙালি জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। আগের দিন একটা পর্যন্ত হরতাল পালনের আহŸান জানানো হলেও রাজধানীতে সাধারণ মানুষ দিনব্যাপী অবস্থান নিয়ে হরতাল পালন করে। তারা রাস্তা দখলে নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। কেননা আগের দিন রাত অর্থাৎ ২ মার্চ রাতে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ বীর সন্তানদের লাশসহ শোভাযাত্রা মানুষকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আবারো বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এসব খবর যেন সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সেন্সরশিপ আরোপ করেছিল। এদিকে ১ মার্চের ইয়াহিয়ার বক্তব্যের পর দেশের সাধারণ মানুষ তাকিয়ে ছিল ৭ মার্চের দিকে। তবে এদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচিত করা হয়। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ অনুষ্ঠানটি ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন। এদিনের জনসভায় বঙ্গবন্ধু অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে তার বক্তৃতায় অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি করেন। আর জনতার উদ্দেশে অফিস-আদালত বন্ধ রেখে, খাজনা-ট্যাক্স না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ৩ মার্চ, ২০১৮, ৭:১৩ এএম says : 0
    “ জবাব চাই “ আমরা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি প্রতিটি মুহূর্তে সংগ্রাম করে করে, কন্কাল বানিয়েছো দেহটাকে আহার নিয়ে কেড়ে ৷ আশ্রয়হীন হয়েছি পৃথিবীতে কথিত সভ্য তোমাদের অত্যাচারে, প্লাটফর্মে, ফুটপাতে খুঁজি আশ্রয় স্বাধীনতার স্বাধ কি কবরে ? বস্রহীন করিতেছ অসহায়দেরকে মুখোশদারী ভদ্রলোক তোমরা, কোথায় মোদের গনতান্ত্রিক অধিকার জবাব চাই আমরা ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ