Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘৌতায় সিরীয় বাহিনীর অগ্রাভিযান

৯ দিনের যুদ্ধে নিহত ৫৬০, আহত দুই হাজারেরও বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৮, ৮:৪৬ পিএম

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পূর্ব ঘৌতার যুদ্ধে শতাধিক শিশুসহ ৫৬০ জন নিহত হয়েছে। শহরটির পুনরুদ্ধারে আসাদ বাহিনী গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হামলা চালিয়ে আসছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয় দিনের যুদ্ধে নিহত হয়েছেন দুই সহস্রাধিক মানুষ। অবরুদ্ধ ওই এলাকায় থাকা এক সিরীয় সাংবাদিক মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌতায় অভিযানে বেশ অগ্রসর হয়েছে সরকারদলীয় ও তাদের মিত্র মিলিশিয়া বাহিনী। রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটির পূর্ব দিকের হাউয়েস আল-দাওয়াহিরা অঞ্চলে বেশ অগ্রসর হয়েছে সরকারি বাহিনী। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিরিয়া সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীপক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। জাতিসংঘের অস্ত্রবিরতি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মানবিক বিরতির ঘোষণার মধ্যেও ঘৌতায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী। এর আগে মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স ১০ দিনে আসাদ বাহিনীর হামলায় ৭০০-এরও বেশি মানুষ নিহতের খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছিল। সিরীয় সামরিক বাহিনীর এক সূত্রমতে জানা গেছে, ঘৌতাবাসীর জন্য নিরাপদ করিডোরটি গত বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো উন্মুক্ত ছিল। সাধারণ নাগরিক, অসুস্থ ও আহতরা যাতে নিরাপদে এ করিডোর ব্যবহার করে ঘৌতা থেকে চলে যেতে পারে, সেজন্যই এটি খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার বা বুধবার কেউই এ অঞ্চল ত্যাগ করেনি। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌতায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। আর এ অঞ্চলটিই দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম টার্গেট। রাশিয়া ও ইরানের সামরিক সহযোগিতায় এরই মধ্যে বহু অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখল থেকে নিজের আয়ত্তে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ঘৌতায় সরকার ও বিদ্রোহী দলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটির ওপর সিরীয় সরকার ও তাদের মিত্র দলগুলো ভারী বোমাবর্ষণ শুরু করে। মানবাধিকার সংস্থাসহ স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের তথ্যানুযায়ী, এ হামলায় হাজার খানেক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। পরিস্থিতি ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ৩০ দিনের পুরো মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে। মিডলইস্ট মনিটর, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • ১ মার্চ, ২০১৮, ১০:৪৩ পিএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেনr
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ