Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুমুল যুদ্ধের পর রাকায় ঢুকেছে সিরীয় বাহিনী

জাতিসংঘ ও রেডক্রসকে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সিরিয়া

প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সহায়তায় সিরিয়ার রাকায় আবারো কার্পেট বোমা ফেলতে শুরু করেছে বাশার আল আসাদের বাহিনী। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কথিত রাজধানী রাকার প্রাদেশিক সীমানা পেরিয়ে বাকি এলাকাগুলোও মুক্ত করার অভিযানে আরো এক ধাপ এগিয়েছে আসাদ বাহিনী। এদিকে, সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে জাতিসংঘ এবং রেডক্রস সিরিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে পারবে। সিরিয়া সরকার গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ১৯টি অবরুদ্ধ এলাকার মধ্যে ১১টিতে ত্রাণ সরবরাহের জন্য জাতিসংঘ এবং রেডক্রসকে অনুমতি দিয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে এসব এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে সিরিয়ার হামা প্রদেশের পূর্বাংশে একের পর এক বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ বোমারু বিমান। আইএস-অধীকৃত রাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে ক্রমাগত সেই বোমাবর্ষণ সিরীয় সেনাবাহিনীর সামনে এগোনোর রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছে। রাকায় ঢোকাই ছিল সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, রাকা শহরই আপাতত আইএসের স্ব-ঘোষিত খিলাফত তথা তাদের খলিফা আল-বাগদাদির রাজধানী। আর এ জন্যই আইএস তাদের শেষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এই রাকা প্রদেশেই। খবরে বলা হয়, দুই দিনের তুমুল যুদ্ধের পর আইএসের তথাকথিত খিলাফতের রাজধানী রাকায় ঢুকে পড়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। সেখানে এখন জঙ্গি আটকের অভিযান চলছে। অভিযানে সিরিয়াবাহিনীকে সহায়তা করছে রাশিয়া। গত শনিবার ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মুখপাত্র রামি আবদেল রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, রাকায় প্রবেশের আগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা হামায় অবস্থান করছিল। সেখানে আইএসের সঙ্গে সিরিয়বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। গত শুক্রবার হামায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। এর ফলে হামার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে আইএস। রাশিয়ার বিমান হামলার মুখে টিকতে না পেরে হামা ছেড়ে রাকায় প্রবেশে বাধ্য হয় আইএস। রাকার সীমান্ত সংলগ্ন শহর হামা। আইএস হামা ছেড়ে দিলে সিরিয়াবাহিনী সেখান দিয়ে রাকায় ঢুকে পড়ে। রাকায় আইএসের বিরুদ্ধে সিরিয়া বাহিনীর এটি তৃতীয় বৃহত্তম অভিযান। এর পাশাপাশি কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনীও আমেরিকার সহযোগিতায় রাকায় আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আইএসকে ইতোমধ্যে কোণঠাসা করে ফেলেছে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী। রাকা শহরটির পাশেই রয়েছে ইরাকের মসুল। রাকায় আইএস পরাজিত হলেই ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের রাজত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। রাকায় রয়েছে সিরিয়ার সবচেয়ে বড় পানির বাঁধ, যা ইউফ্রেটিস নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পরই সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ। আল-জাজিরা, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুমুল যুদ্ধের পর রাকায় ঢুকেছে সিরীয় বাহিনী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ