পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
টাইমস অব ইন্ডিয়া : চীন মঙ্গলবার বলেছে, বিশ্ব সম্প্রদায়কে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টাকে একপেশে দৃষ্টিতে না দেখে বস্তুনিষ্ঠ ভাবে দেখা উচিত। আর্থিক অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ) বৈঠকে সর্বসময়ের বন্ধু পাকিস্তানকে সমর্থন করা থেকে পিছিয়ে আসার কয়েকদিন পর বেইজিং এ মত প্রকাশ করল। এ সভায় ইসলামাবাদকে সন্ত্রাস অর্থায়ন নজরদারি তালিকাভুক্ত করা হয়।
গত সপ্তাহে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৩৭ জাতি এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ সভায় পাকিস্তানকে নজরদারির আওতাধীন সে সব দেশের তালিকায় রাখা হয় যে সব দেশে এখনো সন্ত্রাসী দলগুলোকে তহবিল সংগ্রহ করতে দেয়া হয়।
যদিও পাকিস্তানের নাম করা হয়নি, দেশটিকে এপ্রিলের মধ্যে তহবিল তছরূপ দমন ও সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন বিরোধী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা পেশ করতে হবে। তা করতে ব্যর্থ হলে তাকে এ তালিকায় তোলা হবে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং মঙ্গলবার বেইজিংয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন. পাকিস্তান সরকার ও জনগণ সন্ত্রাস দমনে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে।
চীন আগে তুরস্ক ও সউদী আরবের সাথে পাকিস্তানকে এ তালিকাভুক্ত করার বিরোধিতা করে। কিন্তু মার্কিন চাপে রিয়াদ এ বিরোধিতা থেকে সরে যাওয়ার পর চীনও পাকিস্তানকে সমর্থন করা থেকে পিছিয়ে যায়।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন এক পাকিস্তানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলে, এ পর্যায়ে চীন ইসলামাবাদকে জানায় যে তারা ্পাকিস্তানকে সমর্থন করা থেকে সরে যাচ্ছে এ কারণে যে তারা ব্যর্থ হতে চলেছে এমন একটি উদ্যাগকে সমর্থন করে মুখ নষ্ট করতে চায় না। প্রস্তাবটি ব্যর্থ করতে কমপক্ষে ৩টি দেশের সমর্থন প্রয়োজন।
প্যারিস বৈঠকে চীনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে লু বলেন, আর্থিক ক্ষেত্রগুলোতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা (সন্ত্রাস দমন বিষয়ক) প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে আর্থিক ও অর্থায়ন রোধ জোরদার করার ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে একপেশে ভাবে সমালোচনা করার পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য ভাবে দেখার আহবান জানাই।
লু বলেন, পাকিস্তানের পরীক্ষিত অংশীদার হিসেবে চীন সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ে দেশটির সাথে সমন্বয় ও যোগাযোগ জোরদার করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এফএটিএফ পাকিস্তান যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক বলে চায় তাদের মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে জামায়াত-উদ-দাওয়া নেতা ও মুম্বাই হামলার মূল হোতা হাফিজ সাইদ ও তার দাতব্য সংগঠনগুলো।
এদিকে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতম মিত্র চীন ও সউদী আরবের ভ‚মিকায় পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে জোর সমালোচনা হয়েছে।
ডনের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, প্যারিসে সদ্য সমাপ্ত এফএটিএফ বৈঠকের খবর থেকে দেখা যায়, যে দু’টি দেশকে ভ্রাতৃভাবে দেখার জন্য আমাদের বারবার বলা হয় সেই চীন ও সউদী আরব এ বৈঠকে পাকিস্তানকে পরিত্যাগ করেছে এবং দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে ধূসর তালিকাভুক্ত করতে মার্কিন চেষ্টার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে
ডন বলে, এ ঘটনায় যদি একটি কিছুও শিক্ষণীয় থাকে তা এই যে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ‘বন্ধু’ বা ‘ভাই’ নেই। যা আছে তা হচ্ছে স্বার্থ ও দরকষাকষি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।