পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের জৈন্তাপুরে ধর্মীয় বিতর্কে দুইজন আলেম হত্যা ও হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী ওলামালীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ আব্দুস সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে বলেন, অতীতে দেখা গেছে শান্তিপূর্ণ দেশে সালাফী গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের বিনিময়ে বিভ্রান্তিপূর্ণ আকিদা প্রচার করে। ইহুদী ও মুশরিকদের টাকায় তারা দাঙ্গা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মুসলমানদের শহর নগর ধ্বংস করছে। সিলেটের ঘটনায় একদল দাঙ্গাবাজ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই আলেম হত্যার বিচার না হলে সারা দেশের কওমী আলেমরা দেশের সকল মাজার জ্বালিয়ে দেবে। অথচ এদেশে ইসলাম এনেছে ওলি-আউলিয়া, গাউছ-কুতুব ও পীর মাশায়েখগন। প্রখ্যাত আউলিয়া ও পীরদের মাজার এদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সুতরাং মুফতি ফয়জুল্লাহর এ ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্য সালাফীদের কথারই প্রতিধ্বনি।
যুগযুগ ধরে এদেশে মসজিদ মাজার ও মাদরাসা একই অঙ্গনে পাশাপাশি আছে। কোন আইএস জঙ্গিই পারে মাজারে আগুন দিতে। শত্রুরা তখন সুযোগ নিয়ে মসজিদেও বোমা মারার এবং মাদরাসায় হামলার সুযোগ নিবে। যে শয়তানি খেলা সালাফিষ্ট সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান ইরাক ও সিরিয়ায় খেলছে। সরকারের উচিত মুফতি ফয়জুল্লাহকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা। তিনি সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সারাদেশে মাজারে আগুন লাগানো ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর প্রজেক্ট কোথায় পেলেন? কওমীরা কি কোনোদিন আগুন সন্ত্রাস করেছে? কওমী ঘরানার শীর্ষ আলেমগণ চিন্তা করে কথা বললেও ২০ দলের ডিগবাজী খাওয়া এই নব্য সরকারঘেঁষা মুফতী ফয়জুল্লাহ এমন উস্কানীমূলক কথা কীভাবে বলেন। তার খুঁটির জোর কোথায়? তিনি কোন শক্তির এজেন্ট হয়ে দেশে দাঙ্গা বাঁধানোর উস্কানী দিচ্ছেন? কওমী নেতৃবর্গকেও এসব সুবিধাবাদী লোকদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।