পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংখ্যালঘু মৌলবাদী হিন্দুরা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে। দেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানী চরম পর্যায়ে পৌছেছে। ভারতে মুসলমানদের তুলনায় বাংলাদেশে হিন্দুরা স্বর্গে বাস করলেও সরকার বিরোধী কিছু মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন দেশে কট্টর মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে এসব উস্কানী বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আখতার হুসাইন বুখারী, কার্যকরী সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, লায়ন মাওলানা আবু বকর ছিদ্দীক, মাওলানা শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক দখলের ডাক দেয়া ভারতের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আদলে গত শুক্রবার দেশে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ-এর আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠনেই মুসলিম বিরোধী সা¤প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়ানো হয়েছে। তারা হিন্দুদের জন্য চাকরিতে ২০ শতাংশ কোটা, সংসদে ৬০টি হিন্দু সংরক্ষিত আসন, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের মতো উদ্ভট দাবি তুলে মূলত মুসলমানদের এদেশে সংখ্যালঘু বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। অথচ বাংলাদেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমবেশি শতকরা ৫% তারপরও তাদের দাবী চরম আস্পর্দা। যা এদেশের মুসলমানরা কখনো মেনে নেবেনা।
তারা বলেন, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠনটি সরকারী চাকুরীতে ২০ শতাংশ কোঠা চেয়েছে। অথচ ভারত সাংবিধানিকভাবে হিন্দুত্ববাদী নয় বরং ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার পরও মুসলমানরা সেখানে সরকারী চাকুরীতে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। ভারতে জনসংখ্যার ৪০ ভাগ মুসলিম হওয়ার পরও সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র ৩%। (সূত্র: দ্য ডিপ্লোমেট) পুলিশের চাকুরীতে মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৭.৩২%, আসামে ১০.৯৫%, বিহারে ৫.৯৪%, কর্নাটকে ৬.৭১%, গুজরাটে ৫.৯৪%, মহারাষ্ট্রে ৪.৭১%, উত্তর প্রদেশে ৪.২৪%, তামিল নাড়ুতে ০.১১%। ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে নিয়োগ দেয়া ৭০ জন জজের মধ্যে একজন মুসলিমও নেই। সার্বিকভাবে সরকারি চাকরিতে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র ৭%। মাত্র মুসলিমরা বেসরকারী ক্ষেত্রে ৩.১৪% উচ্চপদে রয়েছে। (আইআরআইবি) আর সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে সরকারি উচ্চপদে মুসলমানদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪.৭ শতাংশ, এবং মোট সরকারি চাকরিতে মাত্র ২.১ শতাংশ।
অথচ বাংলাদেশে ২০১৩ সালের অক্টোবরে পুলিশের এসআই পদে নিয়োগে ১৫২০ জনের মধ্যে হিন্দু ৩৩৪ জন যা মোটের ২১.৯৭ শতাংশ। ২০১১ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে নিয়োগে ৯৩ জনের মধ্যে হিন্দু ২৩ জন। যা মোটের ২৪.৭৩ শতাংশ। ৬ষ্ঠ ব্যাচে সহকারি জজ পদে নিয়োগ দেয়া ১২৪ জনের ২২ জনই হিন্দু। শতকরা ১৭ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে ভারতে মুসলমানরা বাংলাদেশের হিন্দুদের তুলনায় চরম বঞ্চিত নিগৃহিত বিপরীতে হিন্দুরা বাংলাদেশে স্বর্গে বাস করছে। এর পরেও এ সা¤প্রদায়িক সংগঠনটি উদ্ভট সব দাবি উত্থাপন করে সা¤প্রদায়িকতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে।
তারা বলেন, মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক সংগঠনটি সংসদে হিন্দু ৬০টি সংরক্ষিত আসনের উদ্ভট দাবি তুলেছে। এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নামক একটি সা¤প্রদায়িক সংগঠনও বলেছে, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীসভায় সংখ্যালঘু মন্ত্রী নেই। কিন্তু আইয়ুব সরকার, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকারসহ প্রতিটি সামরিক সরকারের আমলে সংখ্যালঘু মন্ত্রী ছিল।” অথচ দেশে ইতিমধ্যে ১৫ জন হিন্দু এমপি মন্ত্রী রয়েছে। অপরদিকে ভারতে ৫৪৫ আসনের মধ্যে মুসলিম এমপি মাত্র ২৩ জন। যা শতকরা মাত্র ৪.২%। অথচ ৪০ ভাগ মুসলমান হিসেবে ভারতে ২১৮ জন মুসলিম মন্ত্রী-এমপি থাকার কথা ছিল। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার পরও মুসলমানদের অধিকার দেয়া হয়না সেখানে এদেশের মৌলবাদী উগ্রপন্থী হিন্দুরা এসব উদ্ভট দাবির সাহস পায় কি করে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।