Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিইসির সঙ্গে নরওয়ে-সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত মিজ চারলোটা স্কালাইটার ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বিøকেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রত্যাশা করেন আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।
সিইসির সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কিভাবে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে পারে সেই বিষয়ে কথা হয়েছে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ভ‚মিকা পালনের তাগিদ দিয়েছেন তারা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি এবং আমাদের এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এর আগে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করে। ওই সময় ইইউয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেয়া হয়।
পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করছেন আইডিইএ প্রকল্পের কর্মকর্তারা
এদিকে প্রকল্প পরিচালকের আশ্বাসে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করছেন নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্পের আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা। গত কয়েক দিনে পদের নাম ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন, চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে এনআইডি উইং-এর একটি প্রকল্পের আওতায় ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ ও ‘টেকনিক্যাল সাপোর্ট’ পদের ৭২ জন পদত্যাগ জমা দেয়। নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন তারা। ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদের নাম ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন, চাকরি স্থায়ী করা না হলে এ ৭২ জন ‘গণপদত্যাগ’ বিবেচনার জন্যে প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন করে। গতকাল প্রকল্প পরিচালক ও ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তার কার্যালয়ে পদত্যাগকারী প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। তাদের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে তিনি জানান। এজন্য আন্দোলনকারীদের কাছে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় চান তিনি। একই সঙ্গে যারা কাজে ফিরবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পদত্যাগকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ কাজে ফিরছেন। তাদের দাবির বিষয়ে আমরা কাজ করছি। পদত্যাগকারীদের পেছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, দু’একজন যারা কাজে ফিরবেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসি সূত্রে জানা যায়, ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরুর সময় থেকে শতাধিক লোকবল আইডিইএ প্রকল্পের অধীনে কাজ করে আসছে। ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের এ লোকবলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে একসঙ্গে স্বাক্ষর করে প্রথম ধাপে ৩২ জন, সোমবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জন আবেদন জমা দিয়েছে। প্রকল্পের গণস্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, পদের নাম পরিবর্তন করে টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের ‘সহকারী প্রোগ্রামার’, টেকনিক্যাল সাপোর্টদের ‘ডেটা এন্ট্রি সুপারভাইজার’ করা, বেতন গ্রেড পরিবর্তন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ী করতে হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব দাবি পূরণ না করা হলে প্রকল্পের এসব লোকজনের চাকরির মেয়াদ আর না বাড়িয়ে ‘পদত্যাগপত্র’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানান তারা। বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে প্রকল্পের লোকবল রাজস্ব খাতে নেওয়ার প্রস্তাবে অসন্তোষ দেখা দেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে প্রকল্পের লোকদের চাকরি বৈষম্য নিয়েও আন্দোলন হয়। কখনো কখনো এনআইডি সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় এনআইডি সেবাকে জিম্মি করে কোনো ধরনের দাবি আদায় করতে না দেওয়ার কঠোর অবস্থান দেখায় বর্তমান কমিশন। পরে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে পরস্পর বিরোধী অবস্থানের ইতি ঘটে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:২৫ এএম says : 0
    আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের ব্যাবসায়িরা ব্যাবসা করেন সেই সূত্রে সেসব দেশ থেকে আমরা অনুদান পাই আবার ঋণও পেয়ে থাকি তাই সেসব দেশ চায় আমাদের দেশে রাজনৈতিক কারনে যেন হরতাল বা সস্ত্র আন্দলোন না হয়। এসব কারনে ঐসব দেশ গুলো আমাদের নানা বিধ কাজে হস্তক্ষেপ করে থাকে আর আমাদের সরকার সেটা মাথা পেতে সহ্য করে। এখানে যে দুই দেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সাথে দেখা করেছেন এই দুটা দেশই পৃথিবীর খুবই নীরিহ দেশ হিসাবে চিহ্নিত। তারপরও এনারাই গেছেন কারন দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এনারাই বেশীর ভাগ মধ্যস্ততা ভূমিকা পালন করে থাকে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করছে তাই তারা একের পর এক দেশের রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে সিইসির সাথে দেখা করে সরকারকে চাপের মূখে রাখতে চাইছে যাতে সরকার তাদের খেয়াল খুশী মত নির্বাচনের কাজ না করে এবং কমিশন যাতে নূন্যতম নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। এখন দেখার বিষয় এদের চাপে কমিশন কতটা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে এবং সরকার কতটা ছাড় দিতে পারে। আল্লাহ্‌ সবই জানেন এটাই সত্য।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ