Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে মারামারি ককটেল বিস্ফোরণে পণ্ড ছাত্রলীগের সম্মেলন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:১৫ পিএম | আপডেট : ৩:২৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

মারামারি আর ককটেল বিস্ফোরণে পণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সম্মেলন ফের শুরু করতে না পেরে অতিথিরা বেলা একটায় অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যান। ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ এবং দুই পক্ষের চেয়ার মারামারিতে সম্মেলনস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় নেতারা আর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাকিব হোসেন সুইম। মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনসহ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতাদের সামনে দুইপক্ষ মারামারিতে জড়ায়। শুরুতে অনুষ্ঠানস্থলের বাঁ পাশে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিকট শব্দে অনুষ্ঠানস্থলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। এই বিশৃঙ্খলার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টায় কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হন। আহত পাঁচজনকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ছাড়াও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বারবার অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফেরানোর আহ্বান জানালেও কেউ কারও কথা শোনেনি। এক পর্যায়ে গণপূর্তমন্ত্রী মাইকে দাঁড়িয়ে বলেন, যারা এ হামলা করেছে তারা বহিরাগত। এরা সংগঠনের কেউ নয়। তিনি হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিত বাড়ানো হয়। তবে পুলিশ কোন অ্যাকশনে যায়নি। ককটেল বিস্ফোরণের পরপর বাইরে থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন এলাকার কর্মীদের মিছিল নিয়ে দলে দলে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। সম্মেলনে ফের শুরু করতে ব্যর্থ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। অতিথিরা চলে যাওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের আশপাশের সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তৈয়ব সাংবাদিকদের জানান, সম্মেলন মঞ্চে যখন জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তখনই বহিরাগতরা শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা করেছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সম্মেলনে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও জানান এ নেতা। সম্মেলনে উত্তর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও শতাধিক মাইক্রোবাসে কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন। কমিটি গঠন নিয়ে ফের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ