পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার অভিনেত্রী শ্রীদেবী কাপুর মারা গেছেন। দুবাইয়ে পারিবারিক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেযার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তার বযস হয়েছিল মাত্র ৫৪ বছর। চারবছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন শ্রীদেবী। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কান্নাডা আর হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন।
বলিউডের হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেত্রীর একজন বলে তাকে মনে করা হতো, যারা নায়ক সহকর্মীর সহায়াতা ছাড়াই ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারবেন। তার মৃত্যুতে বলিউড সহ গোটা ভারত শোকে মূহ্যমান , ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার অফিসিয়াল টুইটারে দেওয়া এক পোষ্টে বলেন, ‘শ্রীদেবীর অকাল প্রয়াণ একটা বড় ক্ষতি। তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসে কিংবদন্তি ছিলেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু চরিত্রে অভিনয়ই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শ্রীদেবীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ১৯৭৮ সালে বলিউডে অভিষেক হয়েছিলো মায়াবী চোখ আর মিষ্টি হাসির নায়িকা শ্রীদেবীর।শুধু হিন্দিতেই নয়, বরং তামিল তেলেগুসহ ভারতীয় নানা ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কোন সুনির্দিষ্ট নায়কের সমর্থন ছাড়াই অনেক সিনেমা ব্যবসা সফল হয়েছিলো তাঁর অভিনয় গুনে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে যখন পুরুষ অভিনেতাদের তুমুল দাপট এবং কাহিনি ছিলো নায়ক নির্ভর ঠিক সেই সময়েই শ্রীদেবী অভিনেত্রী হিসেবে অনেক সিনেমাকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। বৈচিত্রপূর্ণ অভিনয়ে তাকে পরিণত করেছিলো প্রবল জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে।আবার অনেক ভক্তের কাছে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন সৌন্দর্য্যরে মাপকাঠি। মূলত এসব কারণে তাকেই ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রথম নারী সুপারস্টার মনে করেন অনেকে। নায়িকা হিসেবে ৭৮ সালে হলেও তার আগে থেকেই অভিনয় করছিলেন বহু ভক্তের হৃদয়ে দেবীর আসন পাওয়া শ্রীদেবী। মূলত অভিনয় জীবনে তার শুর” হয়েছিলো শিশুকালেই, মাত্র চার বছর বয়সে। আর মোট প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রায় দেড়শ সিনেমায়। যার মধ্যে রয়েছে বক্স অফিস কাঁপানো মিস্টার ইন্ডিয়া, চাঁদনী, চালবাজ ও সাদমাসহ জনপ্রিয় অনেক সিনেমা। তাঁর বিখ্যাত সিনেমা মিস্টার ইন্ডিয়ায় একজন রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। বহুমাত্রিক এই অভিনেত্রী মাঝে একবার বিরতিও নিয়েছিলেন তার কাজে। ১৯৯৭ সালে যুদাই ছবির মুক্তির পর চলচ্চিত্র শিল্প থেকে লম্বা সমরেয় জন্য বিদায় নেন তিনি। পরে ফিরে আসেন ২০১২ সালে ইংলিশ ভিংলিশ ছবির মাধ্যমে। এ ছবিতে একজন মধ্যবয়সী নারী ইংরেজী ভাষা শিখছে এমন চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ২০১৩ সালে তাকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে ভারত সরকার। পারিবারিক সূত্র জানায়, তার শেষকৃত্য আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।