পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : আফ্রিকান দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানী উয়াগাদুগুর একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের হাতে জিম্মি থাকা ৬৩ বন্দিকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল শনিবার দেশটির যোগাযোগমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। এর আগে দেশটির স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হোটেলটির বাইরে প্রথমে দু’টি গাড়ি বোমা হামলা চালায় মুখোশধারী বন্দুকধারীরা। এসময় অন্তত ২৩ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হন। এরপর তিন থেকে চার মুখোশধারী হামলাকারী গুলি ছুড়তে ছুড়তে হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করে এবং হোটেলে থাকা দেশটির সরকারি পর্যায়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ অন্যন্যদের জিম্মি করে। পরে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোটেলের ভেতরে অভিযান শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষক দল বলছে, সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেব এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে আরও বলা হয়েছে, উয়াগাদুগু বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত স্পেনডিড নামে ওই হোটেলটিতে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ও পশ্চিমা দেশগুলোর পর্যটকরা বুকিং নিয়ে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেশ কয়েকজন মুখোশ পরা বন্দুকধারী ওই হোটেলের বাইরে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বুরকিনা ফাসোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিল চিবোঁ জানান, জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হোটেলের একটি অংশে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বুরকিনা ফাসোর হাসপাতালের প্রধান রবার্ট সাঙ্গারে বলেন, হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
জিহাদিদের নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণকারী একটি দল বলছে, ইসলামিক মাগরেবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গি দল আল কায়েদা হামলার দায় স্বীকার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলছেন, বন্দুকধারীরা প্রথমে হোটেলের কাছে কাপুচিনো ক্যাফেতে ঢোকে। ওই ক্যাফেটি সাধারণত জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও পশ্চিমারা ব্যবহার করেন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক কর্মীও হামলার সময় ওই ক্যাফেতে ছিলেন। তিনি বলেন, সেখানে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। হোটেলটি বুরকিনা ফাসোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হোটেলের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ৭৫ সদস্য বুরকিনা ফাসোতে নিয়োজিত।
মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, হোটেলে চালানো অভিযানে ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রক্ষাকারী বাহিনিকে তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত। গত নভেম্বর মাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এক অভিজাত হোটেলে বিদেশিসহ ১৭০ জনকে জিম্মি করে বন্দুকধারীরা। নয় ঘণ্টা পর এ জিম্মিদশার অবসান ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়। এ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করে জঙ্গি দল আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেব। বিবিসি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।