Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ীতে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোঃ আবু শহীদ, ফুলবাড়ী দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সার বীজ ও কৃষি পুনর্বাসনসহ পরামর্শ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহী করছে; ফলে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিবনগর, খয়েরবাড়ী, লালপুর, দৌলতপুর, মাদিলাহাট আমডুঙ্গীহাট, কাজিহাল আলাদীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রাান্তিক কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল এনকে (৪০), পালওয়ান, টাইটান, ৯৮১ সহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছে। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক এ ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আর তাই উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে এখন ব্যাপক ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২৬ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ২২ হাজার ৭শত ৩৮ মেট্রিক টন ভুট্রার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভ হওয়ায় কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা। শিবনগর ইউনিয়নের কৃষক মশিউর জানান, ভুট্টা চাষে জমিতে পানি সেচ কম লাগে এবং ফলনও অন্য ফসলের তুলনায় বেশী হয়, ফলে তিনি ধান আবাদের চেয়ে ভুট্টার আবাদে অধিক আগ্রহী। একইভাবে বেতদিঘী ইউনিয়নের মাদিলা হাট রাধিকা পুর গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম বলেন ভুট্টা মাছ ও মুরগীর খাবার হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টা বাজারে বিক্রি করার পরও এর শুকনো গাছ ও মোচা বাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের মুক্তারপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শহিদুর রহমান বলেন, আগে ভুট্টা চাষের প্রতি তার তেমন আগ্রহ ছিলো না। কিন্তু অন্য কৃষকদের ভুট্টা আবাদ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে দেখে উৎসাহী হয়ে প্রথম বছরেই খরচ মিটিয়ে তিনি বিঘা প্রতি পঁচিশ হাজার টাকা লাভ করেন । প্রতি একরে ভুট্টার ফলন হয় ১২৫ মণ বা ৫ দশমিক ৫ টন। যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এটিএম হামীম আশরাফ জানান, চলতি বছরে উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় মাঠ পর্যায়ে ঘুরে কৃষকদের ভুুট্টা চাষে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন। মাঠ জরিপ অনুযায়ী এ বছর উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় ব্যাপক হারে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। চলতি বছর ২৬ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ২২ হাজার ৭শত ৩৮ মেট্রিক টন ভুট্রার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুট্টা চাষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ