Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুকিয়ে যাচ্ছে ফেনী নদী : হুমকিতে মুহুরী সেচ প্রকল্প

নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের স্থাপিত ৩৪ পা¤প তুলে নিচ্ছে পানি

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ছাগলনাইয়া (ফেনী) থেকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন: ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে পানি তুলে নিচ্ছে ভারত। কোনো চুক্তি ছাড়াই ভারত ফেনী নদী থেকে একতরফা পানি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম মহকুমার ১৭টি সীমান্ত পয়েন্টের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বিদ্যুৎ চালিত উচ্চ ক্ষমতার প্রায় ৩৪টি লো-লিফট পা¤প স্থাপন করে মাটির নিচে নদী তীরের কাছে শতাধিক কিউসেক পানি গোপনে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে আপত্তি জানানো হলেও কর্ণপাত করছে না ভারত। শুল্ক মৌসুমে ফেনী নদীতে সর্বোচ্চ ২৫০ কিউসেক পানি থাকে। তা থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গোপনে নোম্যান্সল্যান্ড এই নদীর তীরে গোপনে পাকা স্থাপনা ও টিনের বেড়া দিয়ে তারা ৩৪টি পা¤প বসিয়েছে এবং এসব পা¤প মেশিনে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি সিআই পাইপ লাগানো হয়েছে। এসব মেশিন দিয়ে গোপনে নদী থেকে পানি সরিয়ে  নেয়া হচ্ছিল যা আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টন নীতির চরম লঙ্ঘন। এর আগে ২০১২ সালের দিকে বাংলাদেশের তরফ থেকে পানি উত্তোলনের বিষয়ে বিরোধিতা করা হলে তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে গোপনে আবার পানি উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এদিকে ভারত ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে যাওয়ায় হুমকিতে পড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ‹মুহুরি প্রজেক্ট›। বিশেষ করে নদীতে পানি কমে গেলে শুষ্ক মৌসুমে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়। পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায় চাষাবাদ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ফেনী নদী থেকে এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নিতে চাইছে ভারত। বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চুক্তি হওয়ার আগেই নিয়মিত পানি তুলে নিচ্ছে তারা। ফেনী নদী ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। 

বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে এ নদী রয়েছে প্রায় ৭০ কিলোমিটার জুড়ে। খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম পাশাপাশি এলাকা। ওই এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, নদীর প্রবাহ থেকে ৩০-৩৫ গজ দূরে পা¤প হাউস স্থাপন করে নদী থেকে পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পা¤প হাউস থেকে নদীর পানির ধারা পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ৭-৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাগিয়ে পানি তুলে সাবরুম মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করছে ভারত। দক্ষিণ ত্রিপুরার অমরপুরের শিলাছড়ি থেকে সাবরুমের আমলীঘাট পর্যন্ত পা¤প হাউসগুলো স্থাপিত হয়েছে। সেগুলোকে বেশিরভাগ বাংলাদেশের রামগড়ের সীমান্তবর্তী লাচারিপাড়া থেকে মিরসরাইয়ের অলিনগরের বিপরীত দিকে অবস্থিত। বাংলাদেশের বাঁধা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর পানি নিয়ে যাচ্ছে ভারত। এতে বাংলাদেশের ফেনী, রামগড় ও মিরসরাইয়ের সীমান্তবর্তী এলাকার হাজার হাজার একর জমিতে পানির অভাবে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত ফলের বাগান। এ কারণে পথে বসার উপক্রম হয়েছে এলাকার কৃষকদের। একইভাবে পানির অভাবে হুমকির মুখে পড়ছে ফেনীর ‹মুহুরি প্রজেক্ট›ও। শুষ্ক মৌসুমে পানি নিয়ে যাওয়ায় ধু-ধু চরে পরিণত হচ্ছে ফেনী নদী। পাউবো চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী খ ম জুলফিকার তারেক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‹ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলনের জন্য ভারতকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। বিষয়টি নি®পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নদী থেকে পানি না নিতে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।›  ২০১৭ সালের এর শুরুতে চট্টগ্রামে ভারত এবং বাংলাদেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ে সম্মেলনে ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি উত্তোলন না করতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। ভারত যদি ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে থাকে, এটি কন্ট্রোল করার দায়িত্ব বিজিবির। খাগড়াছড়ির গুইমারা সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল এম জাহিদুর রশীদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভারত ফেনী নদী থেকে ৩৪টি উচ্চ ক্ষমতাস¤পন্ন পা¤প বসিয়ে পানি তুলে নিচ্ছে। দুই দেশের সচিব এবং ডিজি পর্যায়ে বৈঠকে আমরা পা¤পগুলো তুলে নিতে বিএসএফকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নদী বিশেষজ্ঞরা জানান, কোনো রকম চুক্তি ছাড়া ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক নদী আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন। উজানে থাকা দেশ এভাবে পানি প্রত্যাহার করতে পারে না।

এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ১৯৩৪ সাল থেকে ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থলই নির্ধারণ করতে পারেনি। ফেনী নদীর উৎপত্তি ভারতের মধ্যে বলে দাবি করে আসলেও মূলত এর উৎপত্তি বাংলাদেশেই। ভারতের দাবি ফেনী নদীর উৎপত্তি হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়শ্রেণী। কিন্তু জানা গেছে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলা মধ্যবর্তী ভগবানটিলা নামের একটি পাহাড় থেকে এই নদীর উৎপত্তি। এই পাহাড়ের ছড়া থেকে উৎপত্তির পর নদীটি বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ভারতের ত্রিপুরার ইজেরা গ্রামে প্রবেশ করে এবং ইজেরা গ্রাম থেকেই নদীটি ফেনী নাম ধারণ করে। এরপর দুই দেশের সীমানাকে বিভক্ত করে অনেকটা অগ্রসর হওয়ার পর নদীটি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইর আমলীঘাট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফেনীর ছাগলনাইয়া, মিরসরাই সোনাগাজী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। নদীটির উৎপত্তিস্থল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। রামগড় পর্যন্ত প্রায় ৮০.৫ কিলোমিটার সারা বছর ছোট নৌকা চলার মতো নাব্যতা থাকে। মুহুরি সেচ প্রকল্পের প্রায় ৭০ ভাগ পানির উৎস ফেনী নদী। ফলে পানির অভাবে ফেনী নদী নাব্যতা হারালে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুহুরি সেচ প্রকল্পের (এমআইপি) চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে ইরি সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুহুরি সেচ প্রকল্প ফেনী, মুহুরি ও কালিদাস পাহালিয়া- এ তিনটি নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। এ প্রকল্পের আওতায় যেখানে তিনটি নদীর পানি দিয়ে ৪০ হাজার হেক্টর জমির সেচকাজ করার কথা, সেখানে পানির অভাবে অনেক জমিতে সেচকাজ সম্ভব হয়ে ওঠছে না। ফেনী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-ফেনী জেলার সীমানায় মুহুরি সেচ প্রকল্পটির অবস্থান। অনেক চিংড়ি ঘের রয়েছে এখানে। নদীর ওপর ১৯৬৫-৬৬ সালে ৫৯৩.৫ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩.৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সমুদ্রের লোনা পানির প্রবেশ রোধ করা এবং মুহুরি সেচ প্রকল্পের কাজে পানির জোগানের জন্য এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ভারত ফেনী নদী থেকে পানি প্রত্যাহার অব্যাহত রাখলে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু প্রকল্পটির হুমকিই নয়, নদীর পানি প্রবাহ কমে গেলে সুমদ্রের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করবে।

এতে জীববৈচিত্র মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে। ভারত তাদের ত্রিপুরার বৃহৎ সেচ প্রকল্প চালু করলে নদী অববাহিকা এলাকায় মরুভ‚মি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। এছাড়া ফেনী, মুহুরি ও কালিদাস নদীকে ঘিরে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার মৎস্য খামার গড়ে উঠেছে। পানি সঙ্কটে এইসব খামার ধ্বংস হয়ে যাবে। ২০ থেকে ২২ হাজার জেলে পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ফেনী নদীর মোহনায় বাঁধ দিয়ে মুহুরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেচের জন্য ফেনী নদীতে পানি রিজার্ভ করে রাখে বাংলাদেশ। ভারত সেখান থেকেই অবৈধভাবে পানি উত্তোলন করছে। ফেনী জেলা পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমি এখনো দেখিনি তবে শুনেছি ভারত ফেনী নদী থেকে পানি তুলে নিচ্ছে। যদি পানি তুলে নিয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়। শুল্ক মওসুমে ফেনী নদীতে এমনিতেই পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়না। অথচ মুহুরী প্রকল্পটি পুরোটাই ফেনী নদীর পানি নির্ভর একটি সেচ প্রকল্প। খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ভারত কোন প্রকার চুক্তি ছাড়া অন্যায়ভাবে ফেনী নদী থেকে পাম্প বসিয়ে পানি নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে এখনি প্রদক্ষেপ নেয়া উচিত।

†bv-g¨vÝ j¨v‡Û fvi‡Zi ¯’vwcZ 34 cv¤c Zz‡j wb‡”Q cvwb

ïwK‡q hv‡”Q †dbx b`x : ûgwK‡Z gyûix †mP cÖKí

QvMjbvBqv (†dbx) †_‡K †gvnv¤§` wbRvg DwÏb: †dbx b`x †_‡K A‰eafv‡e cvwb Zz‡j wb‡”Q fviZ| †Kv‡bv Pzw³ QvovB fviZ †dbx b`x †_‡K GKZidv cvwb Zz‡j wb‡q hv‡”Q| fvi‡Zi `wÿY wÎcyivi mveiæg gnKzgvi 17wU mxgvšÍ c‡q‡›Ui †bv-g¨vÝ j¨v‡Û we`¨yr PvwjZ D”P ÿgZvi cÖvq 34wU †jv-wjdU cv¤c ¯’vcb K‡i gvwUi wb‡P b`x Zx‡ii Kv‡Q kZvwaK wKD‡mK cvwb †Mvc‡b mwi‡q wb‡q hv‡”Q| G wb‡q wewfbœ mgq evsjv‡`k †_‡K AvcwË Rvbv‡bv n‡jI KY©cvZ Ki‡Q bv fviZ| ïé †gŠmy‡g †dbx b`x‡Z m‡e©v”P 250 wKD‡mK cvwb _v‡K| Zv †_‡K fviZxq KZ©…cÿ †Mvc‡b †bvg¨vÝj¨vÛ GB b`xi Zx‡i †Mvc‡b cvKv ¯’vcbv I wU‡bi †eov w`‡q Zviv 34wU cv¤c ewm‡q‡Q Ges Gme cv¤c †gwk‡b 6 †_‡K 8 Bw wmAvB cvBc jvMv‡bv n‡q‡Q| Gme †gwkb w`‡q †Mvc‡b b`x †_‡K cvwb mwi‡q  †bqv nw”Qj hv AvšÍR©vwZK b`xi cvwb eÈb bxwZi Pig j•Nb| Gi Av‡M 2012 mv‡ji w`‡K evsjv‡`‡ki Zid †_‡K cvwb D‡Ëvj‡bi wel‡q we‡ivwaZv Kiv n‡j Zv mvgwqKfv‡e eÜ ivLv nq| c‡i †Mvc‡b Avevi cvwb D‡Ëvjb Pvwj‡q hv‡”Q Zviv| Gw`‡K fviZ †dbx b`x †_‡K cvwb Zz‡j wb‡q hvIqvq ûgwK‡Z co‡Q †`‡ki wØZxq e„nËg †mP cÖKí ‹gyûwi cÖ‡R±›| we‡kl K‡i b`x‡Z cvwb K‡g †M‡j ﮋ †gŠmy‡g fqven msKU m„wó nq| cvwbi Afv‡e eÜ n‡q hvq Pvlvev`| evsjv‡`k cvwb Dbœqb †evW© (cvD‡ev) m~Î Rvbvq, †dbx b`x †_‡K GK `kwgK 82 wKD‡mK cvwb wb‡Z PvB‡Q fviZ| welqwU evsjv‡`‡ki m‡½ Av‡jvPbvi ch©v‡q i‡q‡Q| Z‡e G e¨vcv‡i Pzw³ nIqvi Av‡MB wbqwgZ cvwb Zz‡j wb‡”Q Zviv| †dbx b`x 116 wK‡jvwgUvi `xN©|

evsjv‡`k-fvi‡Zi mxgv‡šÍ G b`x i‡q‡Q cÖvq 70 wK‡jvwgUvi Ry‡o| LvMovQwoi ivgMo I fvi‡Zi `wÿY wÎcyivi mveiæg cvkvcvwk GjvKv| IB GjvKvq m‡iRwgb †`Lv †M‡Q, b`xi cÖevn †_‡K 30-35 MR `~‡i cv¤c nvDm ¯’vcb K‡i b`x †_‡K cvwb wb‡q hvIqv n‡”Q| cv¤c nvDm †_‡K b`xi cvwbi aviv ch©šÍ gvwUi wbP w`‡q 7-8 Bw e¨v‡mi cvBc jvwM‡q cvwb Zz‡j mveiæg gnKzgvi we¯ÍxY© GjvKvq †m‡Pi gva¨‡g Pvlvev` Ki‡Q fviZ| `wÿY wÎcyivi Agicy‡ii wkjvQwo †_‡K mveiæ‡gi AvgjxNvU ch©šÍ cv¤c nvDm¸‡jv ¯’vwcZ n‡q‡Q| †m¸‡jv‡K †ewkifvM evsjv‡`‡ki ivgM‡oi mxgvšÍeZ©x jvPvwicvov †_‡K wgimivB‡qi AwjbM‡ii wecixZ w`‡K Aew¯’Z| evsjv‡`‡ki euvav D‡cÿv K‡i eQ‡ii ci eQi cvwb wb‡q hv‡”Q fviZ| G‡Z evsjv‡`‡ki †dbx, ivgMo I wgimivB‡qi mxgvšÍeZ©x GjvKvi nvRvi nvRvi GKi Rwg‡Z cvwbi Afv‡e Pvlvev` Kiv hv‡”Q bv| bó n‡q hv‡”Q kZ kZ d‡ji evMvb| G Kvi‡Y c‡_ emvi Dcµg n‡q‡Q GjvKvi K…lK‡`i| GKBfv‡e cvwbi Afv‡e ûgwKi gy‡L co‡Q †dbxi ‹gyûwi cÖ‡R±›I| ﮋ †gŠmy‡g cvwb wb‡q hvIqvq ay-ay P‡i cwiYZ n‡”Q †dbx b`x| cvD‡ev PÆMÖvg A‡ji wbe©vnx cÖ‡KŠkjx L g RyjwdKvi Zv‡iK ˆ`wbK BbwKjve‡K e‡jb, ‹fviZ-evsjv‡`‡ki Awfbœ b`x¸‡jvi cvwb eȇbi welqwU GLbI Av‡jvPbvi ch©v‡q i‡q‡Q| †dbx b`x †_‡K cvwb D‡Ëvj‡bi Rb¨ fviZ‡K †Kvb AbygwZ †`qv nqwb| welqwU wb®cwË bv nIqv ch©šÍ b`x †_‡K cvwb bv wb‡Z Zv‡`i Aby‡iva Kiv n‡q‡Q|›  2017 mv‡ji Gi ïiæ‡Z PÆMÖv‡g fviZ Ges evsjv‡`‡ki †Rjv cÖkvmK ch©v‡q m‡¤§j‡b †dbx b`x †_‡K fviZ‡K cvwb D‡Ëvjb bv Ki‡Z wb‡la K‡i †`qv n‡q‡Q| fviZ hw` †dbx b`x †_‡K cvwb D‡Ëvjb K‡i _v‡K, GwU K‡›Uªvj Kivi `vwqZ¡ wewRwei| LvMovQwoi ¸Bgviv †m±i KgvÛvi †j. K‡b©j Gg Rvwn`yi ikx` ‰`wbK BbwKjve‡K e‡jb, fviZ †dbx b`x †_‡K 34wU D”P ÿgZvm¤cbœ cv¤c ewm‡q cvwb Zz‡j wb‡”Q| `yB †`‡ki mwPe Ges wWwR ch©v‡q ˆeV‡K Avgiv cv¤c¸‡jv Zz‡j wb‡Z weGmGd‡K Aby‡iva K‡iwQ| G wel‡q wjwLZ wPwV †`qv n‡q‡Q| G wel‡q b`x we‡klÁiv Rvbvb, †Kv‡bv iKg Pzw³ Qvov fvi‡Zi GKZidv cvwb cÖZ¨vnvi K‡i †bIqvi welqwU AvšÍR©vwZK b`x AvB‡bi cy‡ivcywi j•Nb| DRv‡b _vKv †`k Gfv‡e cvwb cÖZ¨vnvi Ki‡Z cv‡i bv|

G wel‡q miKv‡ii D”P ch©vq †_‡K D‡`¨vM †bIqv `iKvi| 1934 mvj †_‡K †dbx b`xi cvwb eÈb wb‡q we‡iva P‡j Avm‡jI GLb ch©šÍ evsjv‡`k miKvi †dbx b`xi Drcw˯’jB wba©viY Ki‡Z cv‡iwb| †dbx b`xi DrcwË fvi‡Zi g‡a¨ e‡j `vwe K‡i Avm‡jI g~jZ Gi DrcwË evsjv‡`‡kB| fvi‡Zi `vwe †dbx b`xi DrcwË n‡”Q wÎcyiv iv‡R¨i cvnvo‡kªYx| wKš‘ Rvbv †M‡Q, evsjv‡`‡ki cve©Z¨ PÆMÖv‡gi gvwUiv½v I cvbQwo Dc‡Rjv ga¨eZ©x fMevbwUjv bv‡gi GKwU cvnvo †_‡K GB b`xi DrcwË| GB cvnv‡oi Qov †_‡K DrcwËi ci b`xwU evsjv‡`k mxgvšÍ cvi n‡q fvi‡Zi wÎcyivi B‡Riv MÖv‡g cÖ‡ek K‡i Ges B‡Riv MÖvg †_‡KB b`xwU †dbx bvg aviY K‡i| Gici `yB †`‡ki mxgvbv‡K wef³ K‡i A‡bKUv AMÖmi nIqvi ci b`xwU PÆMÖvg †Rjvi wgimivBi AvgjxNvU n‡q evsjv‡`‡k cÖ‡ek K‡i †dbxi QvMjbvBqv, wgimivB †mvbvMvRx w`‡q e‡½vcmvM‡i cwZZ n‡q‡Q| b`xwUi Drcw˯’j †_‡K e‡½vcmvMi ch©šÍ 116 wK‡jvwgUvi `xN©| ivgMo ch©šÍ cÖvq 80.5 wK‡jvwgUvi mviv eQi †QvU †bŠKv Pjvi g‡Zv bve¨Zv _v‡K| gyûwi †mP cÖK‡íi cÖvq 70 fvM cvwbi Drm †dbx b`x| d‡j cvwbi Afv‡e †dbx b`x bve¨Zv nviv‡j †`‡ki wØZxq e„nËg gyûwi †mP cÖK‡íi (GgAvBwc) PÆMÖvg I †dbx †Rjvi jÿvwaK †n±i Rwg‡Z Bwi †mP cÖKí ûgwKi gy‡L covi Avk¼v i‡q‡Q| gyûwi †mP cÖKí †dbx, gyûwi I Kvwj`vm cvnvwjqv- G wZbwU b`xi cvwbi Ici wbf©ikxj| G cÖK‡íi AvIZvq †hLv‡b wZbwU b`xi cvwb w`‡q 40 nvRvi †n±i Rwgi †mPKvR Kivi K_v, †mLv‡b cvwbi Afv‡e A‡bK Rwg‡Z †mPKvR m¤¢e n‡q IV‡Q bv| †dbx †_‡K 25 wK‡jvwgUvi I PÆMÖvg †_‡K 70 wK‡jvwgUvi Ges mgy`ª ˆmKZ †_‡K gvÎ cvuP wK‡jvwgUvi `~‡i PÆMÖvg-‡dbx †Rjvi mxgvbvq gyûwi †mP cÖKíwUi Ae¯’vb| A‡bK wPswo †Ni i‡q‡Q GLv‡b| b`xi Ici 1965-66 mv‡j 593.5 wgwjqb UvKv e¨‡q cÖvq 3.41 wK‡jvwgUvi `xN© evua wbg©vY Kiv nq| mgy‡`ªi †jvbv cvwbi cÖ‡ek †iva Kiv Ges gyûwi †mP cÖK‡íi Kv‡R cvwbi †RvMv‡bi Rb¨ G evua wbg©vY Kiv nq| fviZ †dbx b`x †_‡K cvwb cÖZ¨vnvi Ae¨vnZ ivL‡j we‡klÁ‡`i g‡Z, GB cÖKí AwP‡iB eÜ n‡q hv‡e| ïay cÖKíwUi ûgwKB bq, b`xi cvwb cÖevn K‡g †M‡j myg‡`ªi jeYv³ cvwb cÖ‡ek Ki‡e|

G‡Z Rxe‰ewPÎ gvivZ¥K wech©q †b‡g Avm‡e| fviZ Zv‡`i wÎcyivi e„nr †mP cÖKí Pvjy Ki‡j b`x AeevwnKv GjvKvq giæf‚wg nIqvi Avk¼v †`Lv †`‡e| GQvov †dbx, gyûwi I Kvwj`vm b`x‡K wN‡i cÖvq 30-35 nvRvi grm¨ Lvgvi M‡o D‡V‡Q| cvwb m¼‡U GBme Lvgvi aŸsm n‡q hv‡e| 20 †_‡K 22 nvRvi †R‡j cwievi wbt¯^ n‡q hv‡e| cÖm½Z, †dbx b`xi †gvnbvq evua w`‡q gyûix cÖKí ev¯Íevqb Kiv n‡q‡Q| GB cÖK‡íi gva¨‡g †m‡Pi Rb¨ †dbx b`x‡Z cvwb wiRvf© K‡i iv‡L evsjv‡`k| fviZ †mLvb †_‡KB A‰eafv‡e cvwb D‡Ëvjb Ki‡Q| †dbx †Rjv cvwb e¨e¯’vcbv G‡mvwm‡qk‡bi mfvcwZ I QvMjbvBqv Dc‡Rjv cwil‡`i †Pqvig¨vb †gRevDj nvq`vi †PŠayix †mv‡nj ˆ`wbK BbwKjve‡K Rvbvb, Avwg GL‡bv †`wLwb Z‡e ï‡bwQ fviZ †dbx b`x †_‡K cvwb Zz‡j wb‡”Q| hw` cvwb Zz‡j wb‡q _v‡K Zvn‡j †mUv Ab¨vq| ïé gImy‡g †dbx b`x‡Z Ggwb‡ZB ch©vß cvwb cvIqv hvqbv| A_P gyûix cÖKíwU cy‡ivUvB †dbx b`xi cvwb wbf©i GKwU †mP cÖKí| LvMovQwoi ivgMo Dc‡Rjv cwil‡`i †Pqvig¨vb †ZŠwn`yj Bmjvg dinv` ˆ`wbK BbwKjve‡K Rvbvb, fviZ †Kvb cÖKvi Pzw³ Qvov Ab¨vqfv‡e †dbx b`x †_‡K cv¤ú ewm‡q cvwb wb‡q hv‡”Q| miKv‡ii Zid †_‡K GLwb cÖ`‡ÿc †bqv DwPZ|

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ