Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ভাঙ্গনের কবলে স্কুল-মসজিদ

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৫৫ পিএম

গড়াই নদীর ভাঙ্গনের কবলে স্কুল-মসজিদ

পদ্মার প্রধান শাখা গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে প্রতি বছর অব্যাহত ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের কয়েক’শ পরিবার। শেষ আশ্রয়টুকু হারানো সর্বশান্ত পরিবারগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করছে, আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়ি।


গত দেড় মাস থেকে পানি কমার সাথে সাথে গড়াই নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙ্গনে কুমারখালি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের রেল ও সড়ক সেতুর ভাটি এলাকার কাশিমপুর, বড়ুরিয়া, হাবাসপুর, এলঙ্গীপাড়া, সদকী ইউনিয়নের চর আগ্রাকুন্ডা, পাথরবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

কাশিমপুর গ্রামের নয়ন মোল্লা বলেন, গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বাগানসহ বেশকিছু বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকীর মধ্যে রয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে এলঙ্গি গ্রাম রক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ধ্বসে যাচ্ছে ব্লক। বাড়ছে আতংক।


সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাচীন কালের কুমারখালি-কাশিমপুর সড়ক অনেক আগেই গড়াই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি ভাঙ্গন রোধ কল্পে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

নদী ভাঙ্গনের সর্বস্ব হারানো চর আগ্রাকুন্ডা গ্রামের চাঁদ আলী বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনে তার সব কিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিজের ভিটেমাটি হারিয়ে সরকারী জায়গায় মাথা গোজার একটু যে আশ্রয়টুকু ছিল এবারের ভাঙ্গনে সেটাও চলে গেল।

একই এলাকার রেবেকা বলেন, নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি, ছেলে মেয়ে নিয়ে নিঘুম রাত কাটাছে তার। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন তিনি, কখন যেন তার শেষ আশ্রয়টুকু নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় এ আশংকা সব সময়।

এব্যাপারে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কাশিমপুর মসজিদ, এলঙ্গি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবাসপুর এলাকার কাফির মোল্লা, কাশেম মাঝি, তক্কেল হোসেনের বাড়ী চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় গড়াই গর্ভে বিলীন হতে পারে তাদের শেষ আশ্রয়টুকু।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ ভাঙনের ব্যাপারে জানান, বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ