বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719619484](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর আহবান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েব আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী গতকাল (বুধবার) এক বিবৃতিতে বলেন, বার্মিজ মগদস্যু সরকার ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতন ও নৃশংস গণহত্যা থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনো যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসন করার কয়েকবার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
বাবুনগরী বলেন, এ বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনী ও চরমপন্থি বৌদ্ধদের দল ব্যাপক হামলা চালায়। এটি গণহত্যা হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ ও নির্যাতনের মাত্রা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এসব কথা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকেই উচ্চারিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সা¤প্রতিক তথ্যে জানা যাচ্ছে, ২৫ আগস্টের পরবর্তী সহিংসতায় ৬৭০০ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার নারী। নিহতের মধ্যে শিশুর সংখ্যা দুই হাজারের মতো আর ধর্ষিতাদের মধ্যে অনেকেই হয়েছেন গণধর্ষণের শিকার। তিনি বলেন, এই বর্বর অপরাধ কিছুতেই বিনা বিচারে পার পেতে পারে না। কিন্তু এখনো বার্মিজ মগদস্যু সরকার ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের কোন বিচারই হয়নি। বরং এখনো মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যাকান্ড চলছে। গত কয়েক দিনেও নতুন করে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে অমানবিক ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বাবুনগরী বলেন, মিয়ানমার সরকারের মধ্যে এখনো সামরিক বাহিনীর ভূমিকাই প্রধান। তারা স্পষ্টভাবেই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিরোধী। আর সরকারের প্রধান ব্যক্তি অং সান সু চি সামরিক বাহিনীর অভিমতের বিরুদ্ধে যেতে আগ্রহী নন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়া বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও উদ্যোগে খুব বেশি কিছু আদায় করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে অনেক সংশয় রয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব ও নিরাপদ বসবাসের নিশ্চয়তা ছাড়া প্রত্যাবাসন কোনদিনও সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।