Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের গুলি

হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ ৩০, ফরিদপুরে আহত ৩০

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান, অনশন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমেই দলীয় প্রধানের মুক্তি দাবি করছেন নেতাকর্মীরা। তবে প্রতিটি কর্মসূচিতেই পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান ও হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকালও (মঙ্গলবার) খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি ছোড়া, লাঠিপেটা, নেতাকর্মী আটকের অভিযোগ করেছে দলটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় হবিগঞ্জ জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। ফরিদপুরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করলে পুলিশ সেই মিছিলে লাঠিপেটা করে। এসময় শ্যামা ওবায়েদসহ বিএনপির অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানেও শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরগুলোতে বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জ ও ফরিদপুরে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত ও কয়েকটি জেলায় গ্রেফতারের ঘটনা সরকারের উস্কানীমূলক কর্মকাÐ বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, চক্রান্তের মধ্য দিয়ে দেশে বিবাদ-সংঘর্ষ-সংঘাত সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করার জন্য সরকার নানা দুরভীসন্ধিমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। জুলুম-নির্যাতনের পথ অবলম্বন করে সরকার জনসমাজে ভয় দেখিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের এই অশুভ পরিকল্পনা যে কোন দিনই সফল হবে না সেটি তারা এইমূহুর্তে টের পাচ্ছে না। যারা জনসমর্থনহীন তারাই গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রামরত বিরোধী দলের মিছিলে গুলি ছোঁড়ে, নির্বিচারে গ্রেফতার করে, পুলিশ কাস্টডিতে অমানবিক নির্যাতন চালায়। কিন্তু নানাবিধ উৎপীড়ণ চালিয়েও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে দমন করা যায় না। কারন তারা দাঁড়িয়ে থাকে বিপুল জনগণের সমর্থনের ওপর। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফরিদপুরে বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোদারেছ আলী ঈসা, বিএনপি নেতা জুয়েলসহ দেশব্যাপী অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং ফরিদপুর ও হবিগঞ্জে বিএনপি’র কর্মসূচির ওপর পুলিশের বেপরোয়া গুলিবর্ষণে বর্তমান দু:শাসনের ভয়াল চিত্রটিই ফুটে ওঠে। সরকার বিএনপি’র কর্মসূচিতে যতই অত্যাচার করছে ততই কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তিনি দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং তাদের নি:শর্ত মুক্তির মুক্তি দাবি করেন।
হবিগঞ্জ থেকে মো. ফজলুর রহমান জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে হবিগঞ্জে দলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মাঝে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৩০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন। এ সময় তিন জন আটক করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের শায়েস্তানগরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান অলি, জেলা যুবদল নেতা বাদশা সিদ্দিকী, ছাত্রদল নেতা মহিবুর রহমান শাওন, যুবদল নেতা আবুল বাশার ইসা, হাজী মতিন প্রমুখ নেতাকর্মী। তাদেরকে সদর হাসপাতাল ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- পৌরসভার স্টাফ ফারুক আহমেদ ও মজলিশপুর গ্রামের কাজল মিয়া নামের এক পথচারী, অজ্ঞাত আরেক জন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়। জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মেয়র জি কে গউছ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। মিছিল বের করার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ আলম মেয়র জি কে গউছকে ধরে টানা হেচড়া শুরু করেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়তুন্নবী। তিনি গিয়ে মেয়র জি কে গউছকে ছেড়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ জানান, দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাঁধা দিয়ে লাটিচার্জ গুলিছুড়ে এবং আমাকে বেয়াইনি ভাবে ধরে টানাহেচড়া করে। হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ফরিদপুর থেকে নাজিম বকাউল জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার রায়ে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে ফরিদপুরে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও গুলি করেছে। মিছিলটিতে নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদারেছ আলী ইছা। শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু জানান, সোমবার সকাল ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় পুলিশ এসে আমাদের মিছিলে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় তাদের লাঠিচার্জ ও গুলিতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মি আহত হয়। পরে নেতাকর্মিরা আমাকে কোন মতে রক্ষা করে পাশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে ১৪/১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মিকে আটক করে। এদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কোতয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি রওফুন নবী, লস্করদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা বাবুল তালুকদার মিঠু, মাহফুজুর রহমান, লিটন বিশ্বাস, শেখ সুলতান মাসুদ, ইয়াকুব সেকসহ ১৪/১৫জনকে আটক করেছে। তিনি জানান, আমাদের শান্তি পূর্ন মিছিলে এমন ভাবে নগ্ন লাঠিচার্জ করবে এটা কোন ভাবেই ভাবতে পারি নাই। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলে এমন নাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে ফরিদপুরসহ সারা বাংলাদেশে। এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে পুলিশের হামলায় ফরিদপুরের কর্মরত দুই সাংবাদিক আহত হয়েছে। অপরদিকে পুলিশি নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া। তিনি বলেন যেসকল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াসহ অনতিবিলম্বে সকলের মুক্তির দাবি করেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দায়িত্ব প্রাপ্ত এড.তৈম‚র আলম খন্দকার ও মহানগর বিএনপির দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারপার্শনের উপদেষ্ঠা জয়নাল আবেদীন ফারুকের নেতৃত্বে মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিলসহ যোগদান করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টায় নগরীর স্কাউট ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেয়। মিছিল শুরুর প‚র্বে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় নাশকতার ৩ মামলায় সদ্য জামিন প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ উপস্থিাত হন এবং বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে খোরশেদ বলেন, আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরবে না নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
ল²ীপুর সংবাদদাতা জানান, ল²ীপুরে পৃথকভাবে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করছে নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ল²ীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু,সহ-সভাপতি ছায়েদুর রহমান ছুট্টু, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট হাসিবুর রহমান, বিএনপি নেতা হিরু চেšধুরী, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম রিটন, সদর উপজেলার যুবদলের সভাপতি খালেদ মো. আলী কিরন,পৌর যুবদলের সাধারন সম্পাদক সৌরভ হোসেন ভূলু,ছাত্রদল নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বাবর প্রমুখ। অপরদিকে জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে পৃথকভাবে বিএনপির অপর অংশের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে। এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভইয়া, সদর বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ,সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু,যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হারুনুর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মামুন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অস্থায়ী কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নরসিংদী জেলা বিএনপি। এতে সভাপতির বক্তৃতায় বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন নির্বাচন মেনে নিবে না এদেশের জনগণ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্ণেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সাবেক এমপি রোকেয়া আহমেদ লাকী, ফায়জুর রহমান, আকবর হোসেন, ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়া, আব্দুল রহমান খোকন, আলমগীর হাবিব, কবির আহমেদ প্রমুখ।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মজনু, সদর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক এম এ হালিম,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বেধরক লাঠিচার্জ্জে পন্ড হয়ে গেছে। এসময় জেলা ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম জসিম সহ কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার টঙ্গীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। গাজীপুর মহানগর যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ভাটের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহানগরির টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় সাজা প্রদানের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বগুড়ার গাবতলী শাহাজাহানপুরের সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে পাবনা জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার শহরের গোপালপুরস্থ (লাহিড়ীপাড়া) দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সড়কে গেলে পুলিশের বাধাঁর সম্মুখীন হয়। পুলিশ মিছিলকে শহরে প্রবেশ করতে না দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রাঙ্গনে গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্দেশে নাটোরে নলডাঙ্গায় জেলা বিএনপি এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইরে পুলিশ বাধা প্রদান করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মীর সেলিম ফারুক, জহুরুল ইসলাম, মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, যুবদল নেতা এ্যাডভোকেট কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদল নেতা মোর্শেদ আযম প্রমূখ।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশী বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে পুরানবাজার রেইন্ট্রি তলায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পৌরবিএনপির সভাপতি এডভোকেট শরীফ মো:সাইফুল কবীর প্রমুখ।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এতে সদর থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হাসানসহ পাঁচজন আহত হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের ফায়ার সার্ভিস সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের টান বাজার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালাইশ্রী পাড়ায় এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করে। জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আলী আজম প্রমূখ।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় কারাদন্ডাদেশ দেওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
টঙ্গী সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার টঙ্গীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। গাজীপুর মহানগর যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ভাটের নেতৃত্বে একটি বিক্কেষাভ মিছিল মহানগরির টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।



 

Show all comments
  • জুবায়ের ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৫২ এএম says : 0
    দেশে এসব কি হচ্ছে ?
    Total Reply(0) Reply
  • ইসমাইল ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:৫২ এএম says : 1
    বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে যাচ্ছে না ?
    Total Reply(0) Reply
  • গনতন্ত্র ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:৪৪ এএম says : 0
    জনগনের দু:খ, ৪৭ বৎসরেও আমাদের মানুষিকতার পরিবর্তন হয়নি। আমরা কয়লাকেও হার মানাচ্ছি ।
    Total Reply(0) Reply
  • Bablu ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৬:০৬ এএম says : 0
    বিএনপির জন্য এটাই স্বাভাবিক।
    Total Reply(0) Reply
  • mujahid rahman ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:১৭ পিএম says : 0
    Dear, Police Team why forget caretaker of our political leaders today hasina tomorrow khaleda, why beat BNP what they did because you people not get change to fire bus thats why beat BNP ??????????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুলিবিদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ