রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল: খেয়াল খুশিমতো বাংলা বানানে লেখা হচ্ছে চান্দিনার সাইনবোর্ডগুলো। একই শব্দ একেক সাইনবোর্ডে একেক বানানে লেখা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটছে, তেমনি শিশুর ভাষা বিকাশে ঘটছে ত্রুটি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লার চান্দিনায় সাইনবোর্ড ও দেয়াল লিখনের কাজে যারা নিয়োজিত রয়েছেন তাদের বেশির ভাগই অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত। এদের পরিচয় ‘আর্টিস্ট’। লেখাপড়ার দৌড় খুব বেশি হলে প্রাথমিক পর্যন্ত। এসব আর্টিস্ট দ্বারা যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল কিংবা বাসাবাড়ির সাইনবোর্ড, ব্যানার বা দেয়াল লিখনের কাজ করানো হয়, সেগুলোর বানান থাকে ভুলে ভরা। চান্দিনার বিভিন্ন এলাকায় দোকানগুলোতে দেখা যায়, ফার্নিচার শব্দটিই একেক দোকানে একেক বানানে লেখা হয়েছে। যেমন "চান্দিনা ফার্নিশার্স, রাসেল ফার্নিসারস, হোম ফার্নিষার্স ইত্যাদি। চান্দিনার এক স্টেশনারি দোকানের সাইনবোর্ডে লেখা" ‘ফকরুল ষ্টেশনার্স’। ভুল বানানে লেখা এমন অসংখ্য সাইনবোর্ড চোখে পড়ে চান্দিনার দোকানগুলোর বেশির ভাগ সাইন বোর্ড গুলোতে।
চান্দিনার বিভিন্ন সড়কের মোবাইলের দোকানগুলোর সাইনবোর্ডে রয়েছে একই শব্দ একেক রকমে লেখা । এখান থেকে ফিলিক্স লোড, এজি লোড, পুশ পেইড বিল নেয়া হয়। মোবাইল টু মবেল দুই টাকা’। এমনকি চান্দিনার হসপিটাল এলাকায় ডাক্তারদের সাইনবোর্ডেও দেখা যায় ভুল বানানের ছড়াছড়ি। ডাক্তারের নাম, ডিগ্রি, চেম্বারের নাম ভুল বানানে ভরা। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডেও ভুল। সাইনবোর্ডের ভুল বানানের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, সাইনবোর্ড লেখকদের বেশির ভাগই প্রাইমারি পেরোয়নি।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, বাংলা বানানের ভুল ব্যবহার ভাষা এবং এর শহীদদের প্রতি উদাসীনতারই প্রকাশ। রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে যানবাহনসহ সর্বত্রই ভুল বানানের ছড়াছড়ি। এমনকি সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবনের মূল ফটকেই ভুল বানান চোখে পড়ে। বাংলাদেশে মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহারে আমরা যত্নবান নই। এ ব্যাপারে আন্তরিকতার বড় অভাব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা কম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অশুদ্ধ উচ্চারণে ভুল ইংরেজি বলেন। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে তিনি মাতৃভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন না। ছাত্ররা পরীক্ষার খাতায় বাংলায় লিখলে নম্বর কম দেন। সর্বত্রই প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যবহার উপেক্ষিত। তাই আমাদের সকলকেই বাংলা ভাষা লিখা এবং পড়ার প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ভাষায় আমাদের পরিচিতি, বিশ্বে গৌরব এনে দিয়েছে সে ভাষার সঠিক ব্যবহার আজও আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।