Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘৪২ বিড়ালের মা আলেপা খাতুন’

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) থেকে আফতাব হোসেন: পাবনার চাটমোহর পৌরশহরের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আলেপা খাতুন বিড়ালের প্রতি ভালোবাসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। পৌরবাসীর কাছে তিনি ‘বিড়ালের মা আলেপা’ নামে পরিচিত। পঞ্চাশোর্ধ আলেপা খাতুন ৪২টি বিড়ালকে পরম মমতায় সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন। সকাল হলেই থরে থরে থালায় সাজানো মাছ-ভাত, বাটিতে রাখা দুধÑ এ যেন সন্তানের প্রতি মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিড়ালগুলো অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো সবকিছুই আলেপা খাতুনকে সামলাতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়ির পাশে জঙ্গলে, টিনের চালে, ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে বিড়ালগুলো। নাম ধরে ডাকতেই একে একে সবগুলো এসে হাজির। কেউ আলেপার কোলে চড়ছে আবার কেউবা কোলে ওঠার জন্য শাড়ির আঁচল টেনে ধরছে। শুধু তাই নয়, আলেপা খাতুনকে ফুটবলও খেলতে হয় বিড়ালের সাথে। এ ছাড়া ঝগড়া- মারামারিও হয়। সেটাও মীমাংসা করতে তাকে। বিড়ালের প্রতি আলেপা খাতুনের এক অন্যরকম ভালোবাসা।
আলেপা খাতুন জানান, প্রতিদিন তিন কেজি চালের ভাত, আধা কেজি দুধ ও মাছ লাগে। তা ছাড়া অসুস্থ হলে ওষুধ কেনা থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা খরচ হয়। শুধু সম্মানীর টাকা দিয়ে বিড়ালগুলোর খাওয়ার খরচ হয় না; এর জন্য একমাত্র ছেলে মহরমের কাছে হাত পাততে হয় আলেপাকে। বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া দুই শতক জায়গার উপর দুটো টিনের দোচালা ঘরে থাকেন কাউন্সিলর আলেপা। সাথে থাকেন ছেলে ও ছেলের বউ। তিনি বলেন, ‘আমিই ওদের মা। আমি ছাড়া ওদের দেখবে কে? ওদের (বিড়াল) থাকার ঘর নেই। আমার বিছানায় ঘুমায়। মশারি টাঙিয়ে দিতে হয়। আমার ঘুমানোর জায়গা থাকে না! কষ্ট হয়; কিন্তু কি করব? ওদের থাকার জন্য একটা ঘর করলে ভালো হয়, কিন্তু আমার সে সামর্থ্য নেই’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিড়াল

৩০ জানুয়ারি, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ