রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পীরগাছা (রংপুর) থেকে এস এম সিরাজুল ইসলাম: রংপুরের পীরগাছার মানস নদীর ওপর একটি বাঁশের সাঁকো অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ফেলেছে এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। সাঁকোটি থামিয়ে দিয়েছে চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের জীবনের পথচলা। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে অনেকটা হামাগুঁড়ি দিয়ে পার হন সাধারণ মানুষ। ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই সাঁকোর স্থানে কোনো সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ও কাউনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব জগজীবন গ্রাম। গ্রামটির ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মানস নদী। গ্রামেরই লোকজন যাতায়াতের জন্য মানস নদীর ওপর তৈরি করেছেন একটি বাঁশের সাঁকো। গ্রামটি ঘুরে দেখা গেছে, এখানে নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে পার্শ্ববর্তী ব্র্যাক স্কুল ও হাইস্কুলে যেতে হয়। এ ছাড়া নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় কাজে ওই এলাকার লোকজনের একমাত্র অবলম্বন বাঁশের সাঁকোটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগী বহনসহ সঙ্কটময় মুহূর্তে গ্রামের অধিবাসীদের অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। গ্রামটিতে কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নেই স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা কিংবা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। কুসংস্কার ও অশিক্ষা গ্রামটিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। গ্রামের কলেজছাত্র আবু সাইদ, ষাটোর্ধ্ব আবু হানিফা, হাজি শহীদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, পীরগাছা থানার অন্তর্গত হলেও একটি সেতুর অভাবে আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময় এখানে আসেন। এরপর তারা আর কোনো খোঁজখবর রাখেন না। জাতীয় নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা এখানে সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিলেও নির্বাচনের পর ভুলে যান। এলাকার ইউপি সদস্য আবুল ফজল বলেন, অবহেলিত গ্রামটির উন্নয়নে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। গ্রামের লোকজনের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন। অন্নদানগর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।