Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি : বাড়ছে দূষণ

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে করে নদী ভাঙনসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় আবাদি জমিতে ধস দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বালু বহনে বড় বড় ট্রাক্টর (এমপিথ্রি) ও পাওয়ার টিলার আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় কাঁচা সড়কগুলোতে দুই পাশে ধসসহ গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এই বালু উত্তোলন ও আবাসিক এলাকায় ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার চলাচল বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার না মেলায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এখন জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী থেকে পুরাতন বন্দর সøুইস গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে চাষকপাড়ার বালুব্যবসায়ী জনৈক মন্টু মিয়া ভারী যন্ত্রচালিত বালু উত্তোলনের মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন। এই বালু বহনে বড় বড় ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার প্রতিদির ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুরাতন বন্দরের আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। ফলে পুরাতন বন্দরের সড়কের পাশের প্রতিটি বাড়ি, দোকান, অফিসসহ রাস্তাঘাট বায়ুমÐল পরিবেশ ধুলায় আছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রচÐ ধুলার কারণে প্রতিটি বাড়ি, অফিসের জানালা-দরজা সার্বক্ষণিক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এমনকি আবাসিক এলাকার শিশুরা পর্যন্ত গাড়ির ধুলা ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় দুঘর্টনার আশঙ্কায় বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায়। বালু উত্তোলন করায় পুনাতন বন্দর এলাকা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। নদী ভাঙন দিন দিন বন্দরের দিকে এগিয়ে আসছে। আগামীতে ভাঙনের শিকার হয়ে পুরাতন বন্দর এলাকা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়. করতোয়া নদীর তিনটি পয়েন্টে তিনটি ভারী মেশিন দিয়ে লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পুরাতন বন্দরে শ্যামল চাকী বলেন, বালু উত্তোলন করায় পুনাতন বন্দর এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভাঙন দিন দিন বন্দরের দিকে এগিয়ে আসছে। সেই সাথে বিলীন হয়ে যাবে কয়েক শ’ বিঘা আবাদি জমি। পুরাতন বন্দর এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকতা স্বপন মজুমদার বলেন, আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে সড়কে একাধিক ট্রাক্টর, পাওয়ার ট্রলি সবসময় বেপরোয়াভাবে চলাচল করায় শিশুদেরকে বাড়ি থেকে বেড় হতে দেয়া হয় না, বড়রাও চলাচলে ভয় করে দুঘর্টনার শঙ্কায়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও আবাসিক এলাকায় ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার চলাচল বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ৭ মে ২০১৫ ও ১৭ এপ্রিল ২০১৭ শতাধিক এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত দরখাস্ত দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এরপর কোথায় যেতে হবে আমরা জানি না। বালুব্যবসায়ী জনৈক মন্টু মিয়া জানান, বালু তোলায় কোথাও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তা ছাড়া বালু না তুললে পাকা বিল্ডিং নির্মিত হবে কি দিয়ে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীলাব্রত কর্মকার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সহকারী কমিশনারকে (ভ‚মি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষণ

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ