পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণ ও শিশু হত্যার মতো ঘটনা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা । তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারার মাধ্যমে গণমাধ্যম ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হয়রানির মুখে ফেলা হয়েছে। এই ধারায় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্ক করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা ।
এসময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারার মাধ্যমে গণমাধ্যম ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হয়রানির মুখে ফেলা হয়েছে। এই ধারায় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হতে পারেন। এ ছাড়া ৫৭ ধারার বিষয়গুলো প্রস্তাাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯ এবং ৩১ ধারায় ভাগ করে রাখা হয়েছে, যা উদ্বেগের। তাই এই আইনটি চূড়ান্ত করার আগে সরকারের আরো একবার সতর্কতার সঙ্গে আইনটি পর্যালোচনা করা দরকার।
সংবাদ সম্মেললনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৯৫ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে শিশুই ৩০০ জন। নারী ৩২০ জন। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১৭ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২৮ জনকে। সংস্থার হিসাবে, ২০১৬ সালের তুলনা ২০১৭ সালে দ্বিগুণ বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। ২০১৬ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ৪০৭ জন নারী ও কন্যাশিশু। শুধু শিশু বা তরুণী নয়, নিপীড়ন থেকে বাদ পড়ছে না প্রতিবন্ধীরাও।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি যে ৭৯ ধরনের অধিকার লংঘনের ঘটনার তথ্য সংরক্ষণ তার উল্লেখযোগ্য ৪৫ ঘটনার ২০১৬ ও ২০১৭ সালের তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করেছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, ধর্ষণ ও শিশু হত্যা, পারিবারিক কোন্দলে আহত, নারী নির্যাতন, আত্মহত্যা পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতার সংখ্যা ২০১৭ সালে তুলনামূলক বেশি ছিল, যা জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
প্র্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিগমা হুদা বলেন, ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লংঘনজনিত ঘটনা ও অন্যান্য সহিংসতায় ঘটনায় মোট ২৪ হাজার ৬১৬ জন আহত ও ৬ হাজার ৬০২ জন নিহত হয়েছে। নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় ৩৫২ জন শিশু। এদের মধ্যে পিতা-মাতার হাতে নিহত হয় ৪২ জন শিশু। ২০১৬ সালে শিশু হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭ জন।
২০১৭ সালে নির্যাতনের শিকার হয় ২১১ জন শিশু। ২০১৬ সালে হয়েছিল ১৯৯ জন। ২০১৭ সালে যৌতুকে বলি হয়েছেন ৬০ জন নারী। যৌতুকের কারণে আহত হয় ৬২ জন নারী। পারিবারিক কলহে নিহত হয় ৪০৭ জন ও আহত হয় ১২০ জন। নিহতদের মধ্যে ২৯৩ জন নারী। এ ছাড়া সামাজিক অসন্তোষের কারণে গেল বছর নিহত হয়েছেন ১৭১ জন, আহত হয়েছে ৫৭৮১ জন।
সিগমা হুদা আরো জানান, মাদকের প্রভাবে বিভিন্নভাবে নিহতের সংখ্যা ৫৫ জন, আহত হয়েছেন ৮৪ জন। এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। নিখোঁজ রয়েছেন ১১৭ জন। গনপিটুনিতে মারা যান ৫১ জন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।