Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেলা প্রশাসকদের দেয়া হবে আজ- যা আছে স্মারকলিপিতে...

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৪১ এএম

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কক্সবাজারের উখিয়া সফর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ, সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহঃ), শাহপরানের (রহঃ) মাজার জিয়ারতে বদলে যাওয়া এক বিএনপিকেই রাজপথে দেখেছে সাধারণ মানুষ। ৮ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাদÐ দেওয়ার পরও সেই বিএনপিই। দলীয় প্রধানের নির্দেশনায় অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ঐক্যবদ্ধ ও সংযত দলের নেতাকর্মীরা। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে চান তারা। খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, অনশন, গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিবে বিএনপি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত স্মারকলিপির খসড়া চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। প্রয়োজনে দলের মহাসচিব এ স্মারকলিপি পরিবর্তন করবেন। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যা আছে বিএনপির স্মারকলিপিতে :
জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই তার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়টিও প্রহসনমূলক ও বিস্ময়কর। কারণ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তসরূপের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বেগম জিয়ার কোথাও কোনো স্বাক্ষর নেই। কোথাও তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও জুলুম অব্যাহত আছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই বলে দেয় তারা তাদের কাক্সিক্ষত দূরভিসন্ধিমূলক রায়টি পেয়ে গেছে। কথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের হীন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে আগামী নির্বাচন পুনরায় একতরফাভাবে করতে একদলীয় দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করাই এদের মূল লক্ষ্য। এ ফরমায়েশি রায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক হিংসাশ্রয়ী পরিকল্পনা।

যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রামে অবিচল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকে কখনোই তার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। দেশে এক দুঃসহ অবস্থা বিরাজ করছে বলেই ন্যায়বিচার, ইনসাফ অদৃশ্য হয়ে গেছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেও তার ওপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। দুই শতাব্দীর প্রাচীন জনমানবহীন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি সেখানে কী অবস্থায় আছেন সেটি নিয়েও পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা। এক অমানবিক আদিম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম জিয়ার ওপর সকল প্রকার হয়রানি ও হেনস্থার অবসান ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য প্রহর গুণছে দেশবাসী। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল.... জেলা/মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি এবং তার ওপর সব ধরনের নির্যাতনমূলক কর্মকাÐ থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য আপনার মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেলা প্রশাসক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ