মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ১৩ রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাকে ‘অর্থহীন ও হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া যাখারোভা ওয়াশিংটনের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘১৩ ব্যক্তি মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল? মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত হাজার হাজার কোটি ডলারের বাজেটের বিরুদ্ধে ১৩ ব্যক্তি কাজ করল? এত এত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সংস্থা তাহলে কি করল? অর্থহীন ও হাস্যকর নয় কি? -অবশ্যই।’ তিনি রুশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযোগকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেন। গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় গত শুক্রবার মারিয়া যাখারোভা তার নিজ ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন। শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ১৩ রুশ নাগরিক ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কথিত তদন্ত শেষ করে এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেন। এর আগে দিনের শুরুতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থনের জন্য মস্কো রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অবশ্য নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি রাশিয়ার কোনো কোনো নাগরিকের সমর্থন থেকে থাকতে পারে। ল্যাভরভ ইউরো নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে মষ্কোর সম্পর্কে উন্নতি হয়নি বরং এর আগের ডেমোক্র্যাটিক শাসনামলের চেয়ে খারাপ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিয়েছে বলে ২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরপরই অভিযোগ ওঠে। সে অভিযোগ তদন্ত করে দেখার অন্যতম দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল রবার্ট মুলারকে। এর আগে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরই শোনা গিয়েছিল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া। কিন্তু সে সময় এটি শুধু মুখরোচক সংবাদ হিসেবেই ছড়িয়ে পড়ে। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকার কারণে সেটিকে উড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রমাণ হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ বিষয়ে তদন্তে ফাঁসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তদন্তে অভিযোগ মিলেছে ১৩ জন রাশিয়ানের বিরুদ্ধে। তদন্তে অভিযোগ রয়েছে তিন রাশিয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধেও, যারা ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচন প্রভাবান্বিত করতে কাজ করেছে। এদের মধ্যে তিনজনের নাম এসেছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জালিয়াতিতে চক্রান্তকারী হিসেবে। পাঁচজনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিদ্বেষপূর্ণ পরিচয় প্রতারণার অভিযোগ। শুক্রবার মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তকারী বিশেষ দলটির প্রধান রবার্ট মুলার এ ঘোষণা দেন। অভিযুক্ত কয়েকজন তাদের পরিচয় ও কর্মকাÐ গোপন রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদিন এ বিষয়ক তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক প্রধান নীতিনির্ধারক স্টিভ বেনন। হোয়াইট হাউজের একজন প্রথম সারির কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার চেয়ারম্যান নিযুক্ত ছিলেন তিনি। এফবিআই’র সাবেক পরিচালক জেমস কমির বহিষ্কারের ব্যাপারেও বেননের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বরখাস্তের পর জেমস কমি দাবি করেছিলেন, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্তকে অন্য পথে পরিচালিত করতেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে যে, অভিযুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় আকর্ষণীয় পেজ ও গ্রুপ খুলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এভাবে অগণিত টুইটার পেজও খোলা হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তদন্তে উঠে আসে, ২০১৪ সালের প্রথম দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা শুরু করে চক্রান্তকারীরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার টিম যৌথভাবে রাশিয়ান এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ট্রাম্পের পক্ষে নিতে কাজ করেন। অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধেও তারা প্রচারণা চালায়। রয়টার্স, ইউরো নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।