পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বসতবাড়ি তৈরি, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, চিংড়ি চাষ, তামাক চাষ, দোকানপাট নির্মাণ, ইটের ভাটা প্রভৃতি কারণে দিন দিন কমছে কৃষি জমি। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি জমি প্রয়োজন। যেভাবে কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। কৃষি জমি সুরক্ষায় এসব বন্ধ করতে হবে।’ কৃষক হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্তম্ভ বা পিলার। এ পিলার ধ্বংসকারী ভূমিদস্যুদের হাতেই চলে গেছে রাষ্ট্র। জাতীয় সংসদের বড় অংশই রয়েছে ভূমিদস্যুদের দখলে। ব্যাংক লুটেরা দখল করে নিয়েছে সরকার। আর ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে রাষ্ট্র।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-এর জরুরি গুরুত্ব ও খাদ্য যোগানের নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি তবারক হোসেইন, গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন প্রমুখ।
সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গ্রামের দুর্বল মানুষের ওপর ভূমি দস্যুতা বেশি হয়। দুর্বলের জমি নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলা এমনভাবে করা হয় দরিদ্র মানুষগুলো হাইকোর্ট পর্যন্ত আসতে সাহস পায় না। ফলে বাধ্য হয়ে ভূমিদস্যুদের কাছে সীমিত টাকায় জমি বিক্রি করে দেয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নীতিমালা হয়, কিন্তু আইন হয় না। গরিব মানুষদের ১০ টাকা কেজি চাল দেয়া হয় প্রোগ্রামভিত্তিক। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার কোন আইন নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আইন হলে আমরা বলতে পারব আমাদের কি পরিমাণ খাদ্য দরকার।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোন স্থানীয় সরকার নেই। উপজেলার মধ্যে দু-তিনটা পৌরসভা বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ওখানে কৃষি জমি অকৃষিতে পরিণত হচ্ছে। আমাদের ইলেকশন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। চেয়ারম্যান, মেম্বার কৃষকদের মধ্য থেকে নির্বাচন করতে হবে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, দেশ বাঁচিয়ে রেখেছে নারী, শ্রমিক, কৃষক ও কৃষকের সন্তানরা। যারা দেশ বাঁচিয়ে রেখেছে তাদেরকেই নিঃশেষ করে ফেলা হচ্ছে। রাষ্ট্র বেহাত হয়ে গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বেহাত হয়ে গেছে। ব্যাংক লুটেরা দখল করে নিয়েছে সরকার, ভূমি দস্যুরা দখল করে নিয়েছে রাষ্ট্র। কৃষক ধ্বংসকারীদের একটি বড় অংশই সংসদে। অথচ কৃষকরাই হলো রাষ্ট্রের পিলার বা স্তম্ভ, যাদের ওপর দেশটা দাঁড়িয়ে আছে। যারা রাষ্ট্রের পিলার তাদের ধ্বংসকারীদের হাতে চলে গেছে রাষ্ট্র। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখে গেছে, মধ্যবিত্তের সংখ্যা ১০ শতাংশ না। ৯০ শতাংশই কৃষক ও কৃষকের সন্তান। এ কৃষকদের রক্ষা করতে হবে। এজন্য কৃষক ও আদিবাসীদের একটি প্লাটফর্ম দরকার। সেই সঙ্গে এজন্য একটি রাজনৈতিক ছাতা দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।