পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের আধিপত্য স্পষ্ট। বক্তারা বলেন, গত এক দশকে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেনের প্রায় ৮৫ শতাংশ মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। আর রফতানির ক্ষেত্রে লেনদেনের প্রায় ৯৭ শতাংশ মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সারা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের আধিপত্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইউজিং ইউএস ডলার ইন ফরেন ট্রেড : ইজ দেয়ার এনি অল্টারনেটিভ অপশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলা হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি তার বক্তব্যে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। আট সদস্যের একটি গবেষণা দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক তানবীর মেহদী; বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জেরীন; বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ; বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান ও এ. এস এম শাহাবুদ্দিন; ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ট্রেড মো. খাইরুল আলম চৌধুরী; ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ট্রেজারী মেহেদী জামান।
গবেষণায় প্রাইমারী এবং সেকেন্ডোরি দুই ধরণের তথ্যের ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণায় দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিআইবিএম’র প্রকাশনা থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা এ মুহূর্তে নেই। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সেই সব দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যা লেনদেনের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএম’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা; বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সাবেক সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে আমদানির ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে এক দশকে আমদানি লেনদেনের ৮৫ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। রফতানির ক্ষেত্রে লেনদেনের ৯৭ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে শুধু নয় সারা বিশ্বে একই ধরণের চিত্র। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে এ মুহুর্তে ডলারের বিকল্প মুদ্রা ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও আলোচনা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরাসরি মুদ্রা ব্যবহার করলে খরচ কমবে। এতে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। কিন্তু এখনও ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা বাজারে চালু নেই।
মো. ইয়াছিন আলি বলেন, পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহারই নিরাপদ। তবে ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোন মুদ্রা ব্যবহার লাভজনক হলে তা উৎসাহিত করা যেতে পারে।
বিআইবিএম’এ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
ডলারের আধিপত্য স্পষ্ট
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের আধিপত্য স্পষ্ট। বক্তারা বলেন, গত এক দশকে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেনের প্রায় ৮৫ শতাংশ মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। আর রফতানির ক্ষেত্রে লেনদেনের প্রায় ৯৭ শতাংশ মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সারা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের আধিপত্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইউজিং ইউএস ডলার ইন ফরেন ট্রেড : ইজ দেয়ার এনি অল্টারনেটিভ অপশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলা হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি তার বক্তব্যে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র প্রফেসর এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। আট সদস্যের একটি গবেষণা দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক তানবীর মেহদী; বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জেরীন; বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ; বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান ও এ. এস এম শাহাবুদ্দিন; ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ট্রেড মো. খাইরুল আলম চৌধুরী; ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ট্রেজারী মেহেদী জামান।
গবেষণায় প্রাইমারী এবং সেকেন্ডোরি দুই ধরণের তথ্যের ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণায় দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিআইবিএম’র প্রকাশনা থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা এ মুহূর্তে নেই। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সেই সব দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যা লেনদেনের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএম’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা; বাংলাদেশ ব্যাংক-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সাবেক সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে আমদানির ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তবে এক দশকে আমদানি লেনদেনের ৮৫ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। রফতানির ক্ষেত্রে লেনদেনের ৯৭ শতাংশ ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে শুধু নয় সারা বিশ্বে একই ধরণের চিত্র। তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে এ মুহুর্তে ডলারের বিকল্প মুদ্রা ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও আলোচনা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরাসরি মুদ্রা ব্যবহার করলে খরচ কমবে। এতে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। কিন্তু এখনও ডলারের বিকল্প কোন মুদ্রা বাজারে চালু নেই।
মো. ইয়াছিন আলি বলেন, পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহারই নিরাপদ। তবে ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোন মুদ্রা ব্যবহার লাভজনক হলে তা উৎসাহিত করা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।