Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাইনালে আরামবাগের সঙ্গী চট্টগ্রাম আবাহনী

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গী হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে তারা ফাইনালে জায়গা করে নিল। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ চারের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। বিজয়ী দলের হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি। এ জয়ের ফলে আগামী শনিবার স্বাধীনতা কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আরামবাগের মুখোমুখী চট্টগ্রাম আবাহনী।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেললেও গোলের প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ১১ মিনিটে চট্টগ্রামের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার হাস ফসকে বল বেরিয়ে যাওয়ার পর তা পান রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ হেলাল। কিন্তু তার শট বাইরে চলে গেলে হতাশ হয় দল। পরের মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। এসময় ডান দিক থেকে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ক্রসে ফরোয়ার্ড জাফর ইকবালের ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেয়া হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর প্রায় আধঘন্টা আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও কোন দলই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি। তবে ম্যাচের ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর পাওয়া একটি পেনাল্টি নিয়ে মাঠে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় ডান দিক থেকে চট্টগ্রামের সুশান্ত ত্রিপুরার ক্রস রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক গোলাম মোস্তফা তুয়ানের গøাভস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বল গোললাইন থেকে বুক দিয়ে ফেরাতে গিয়ে মোজাম্মেল হোসেন নিরার হাতে লাগে। রেফারি সুজিত ব্যানার্জি চন্দন পেনাল্টির বাঁশি বাজালে রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে নিয়ম ভেঙে ডাগআউট ছেড়ে মাঠে ছুটে আসেন রহমতগঞ্জ কোচ কামাল বাবু। এক পর্যায়ে দলের খেলোয়াড়দের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসতেও বলেন তিনি। শুরুতে কামালকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিলেও পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে তাকে ডাগআউটে থাকার অনুমতি দেন রেফারি। এমন অবস্থায় দশ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি কিক থেকে গোল করে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেন রনি (১-০)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আহামরি তেমন খেলা চোখে পড়েনি চট্টগ্রাম আবাহনীর। উল্টো রহমতগঞ্জ গোল শোধে মরিয়া হয়ে লড়ে একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সাদ্দাম হোসেন অ্যানির বাড়ানো ক্রসে মিডফিল্ডার নাইমুর রহমান শাহেদের হেড ফিরিয়ে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক রানা। ৭১ মিনিটে মিডফিল্ডার ইলিয়াসের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে রহমতগঞ্জকে আবারও হতাশ করেন সেই রানা। পিছিয়ে পড়া রহমতগঞ্জের সামনে ম্যাচে ফেরার সহজ সুযোগ এসেছিল ৭৩ মিনিটে। এসময় শামীম রেজা বল নিয়ে বক্সে ঢুকতেই তাকে ফেলে দেন চট্টগ্রামের সোহেল রানা। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে ইলিয়াসের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক রানা। ৭৭ মিনিটে ডিফেন্ডার অ্যানি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লে শক্তি কমে রহমতগঞ্জের। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ নষ্ট করেন রনি। এসময় বাঁ দিক থেকে জাফরের বাড়ানো ক্রসে এই ফরোয়ার্ডের বাঁম পায়ের সাইড ভলি কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ৮৮ মিনিটে আব্দুল্লাহর শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি চট্টগ্রাম আবাহনীর। ম্যাচের যোগ করা সময়ে রহমতগঞ্জের ইলিয়াসের হেড ওপরের জাল কাঁপালেও লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জায়ান্ট কিলার খ্যাতদের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবাহনী

১০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ