Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেত্রকোনায় কৃষক হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৫৫ পিএম

নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর কৃষক আব্দুল লতিফকে (৪৫) হত্যার দায়ে এক জনকে মৃত্যুদণ্ড তৎসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তৎসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, তিন জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড তৎসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অপর তিন আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা গতকাল সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, রূপচন্দ্রপুর গ্রামের সুলতু খাঁ’র পুত্র নূরুল আমীন খাঁ (২৬), যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সুলতু খাঁ’র পুত্র আল আমীন খাঁ (২৯) ও আব্দুল হামিদ খাঁ’র পুত্র তৌফিক খাঁ (২৭), ১ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মৃত আরফান আলী খাঁ’র পুত্র সুলতু খাঁ (৫৬), আব্দুল হামিদ খাঁ’র পুত্র কাজল খাঁ (২৪), মৃত মোবারক আলী’র পুত্র তাজুল ইসলাম(৪৮), বেকসুর খালাস প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, আনিছুর রহমান চৌধুরী’র পুত্র অলী চৌধুরী (৩০), মৃত ইজ্জত আলী’র পুত্র নূর আহম্মদ ওরফে নূর মোহাম্মদ (৩৮) ও আনিছুর রহমান চৌধুরী’র পুত্র সবুজ চৌধুরী (৩৮)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, রূপচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফের সাথে সেলু মেশিনের সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের নুরুল আমীন খাঁ গংদের বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ২০১৩ সালের ১৬ জুন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কৃষক আব্দুল লতিফ তার অসুস্থ বড় ছেলে শরীফকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনাপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে কোনাপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছতেই উল্লেখিত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে নূরুল আমীন খাঁসহ ৯ জনকে আসামী করে ১৯ জুন আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর আহমদসহ তিন আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বাদী পক্ষ না রাজি দিলে আদালত সিআইডিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সিআইডি তদন্ত পূর্বক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর আহম্মদকে বাদ দিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাদী পক্ষ পুনরায় না রাজি দিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকল আসামীর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নিয়ে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনান্তে ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত পিঁপিঁ এডভোকেট সাইফুল আলম প্রদীপ, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট নজরুল ইসলাম খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ