Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে অবস্থান কালে আসামি হয়ে গ্রেফতার হলেন গৌরনদীর যুবদল নেতা

গৌরনদী (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:৫৮ পিএম

ভারতে অবস্থান কালে বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন হাওলাদারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বড় কসবা গ্রামের ইমরাত খানের দায়েরকৃত বিস্ফোরক ও মারামারির মামলায় শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ রামসিদ্দি গ্রাম থেকে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা হাজতে বসে মনির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যান। চিকিৎসা শেষে কলকাতা থেকে শনিবার সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রামসিদ্ধিতে পৌঁছেন। বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, গত ৩ ফ্রেরুয়ারি পৌর কাউন্সিল খায়রুল খানের ছোট ভাই বড় কসবা গ্রামের ইমরাত খান বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মনির হোসেন হাওলাদার। গ্রেফতারকৃত মনিরকে গতকাল রোববার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত বিচারক তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, ট্রলার থেকে চাঁদা উত্তোলনে বাঁধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার কাউন্সিলর খায়রুল খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জনে টরকী বন্দর ট্রলার ঘাটে দু’দফা হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খানসহ ২ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তখন টরকী বন্দর ট্রলার ঘাটের ভুষা মালের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন খান (৫৮) জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সাহানাজ সরদার (৪৫) ও তার পুত্র ইউসুফ সরদার (২০) বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে টরকী বন্দর ট্রলার ঘাটে পণ্যবাহী ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিল। এ সময় তিনি (আলাউদ্দিন) চাঁদা উত্তোলনে বাধা প্রদান করলে চাঁদাবাজরা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খাইরুল খানকে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক পৌর কাউন্সিলর খায়রুল খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গালাগাল শুরু করেন। চাঁদা আদায়ে বাঁধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার (আলাউদ্দিন) সাথে পৌর কাউন্সিলরের বাকবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে পৌর কাউন্সিলর খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জনে হামলা চালিয়ে তাকে (ব্যবসায়ীকে) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করেন। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যায়। এ সময় পুলিশের কাছে সাক্ষী দেয় ব্যবসায়ীর ফুফাতো ভাই আসাদুল খান। সাক্ষী দেয়ায় কারণে পুলিশের উপস্থিতিতে পৌর কাউন্সিলর হামলা চালিয়ে আসাদুল খানকে আহত করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ