Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উচ্চ প্রযুক্তির টহল নৌযান রফতানি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ওয়েস্টার্ন মেরিনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
দেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লি. উচ্চ প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন টহল নৌযান রফতানির জন্য শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পুরস্কার-২০১৭ অর্জন করেছে। কেনিয়ার সরকারের মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘দরিয়া’ নামের উচ্চ প্রযুক্তির এই টহল জাহাজ রফতানি করা হয়। বেয়ার্ড মেরিটাইম নামক সারাবিশ্বে উন্নত প্রযুক্তির টহল নৌযান ডেলিভারির নথি সংরক্ষণ ও প্রকাশনাকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড সূত্র গতকাল (শনিবার) জানায়, ‘দরিয়া’ নামক নির্মিত এই অফসোর টহল নৌযানটি ৫৪ মিটার দীর্ঘ। যা উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ও হাইব্রিড প্রোপালসন সিস্টেমে সজ্জিত। এই সিস্টেমটি কনট্রোলেবল পিচ প্রোপেলর ও ওয়াটার-জেট ট্রুস্টার দ্বারা সমন্বয় করা হয়েছে। এরফলে নৌযানটি প্রতিঘণ্টায় ৩৫ নটিক্যাল মাইল বেগে ছুটতে সক্ষম। এটি বাংলাদেশ থেকে নির্র্মিত ও রফতানি করা প্রথম উচ্চ প্রযুক্তির ও সর্বোচ্চ গতির অফসোর টহল নৌযান। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এটি কেনিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এই অফসোর নৌযানটি কেনিয়ার সমুদ্রসীমা টহল কাজে পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি কেনিয়ার বøু-ইকোনোমি এবং এর সমুদ্রসীমায় সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষাসহ দুর্যোগকালীন সহায়তায় ব্যবহৃত হবে।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাংলাদেশ সম্প্রসারিত সমুদ্রসীমা ব্যবহারের সার্বভৌমত্ব পেয়েছে। ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা বাংলাদেশের ‘বøু ইকনোমি’ তথা সামুদ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশের ‘বøু ইকনোমি’ বিকাশের লক্ষ্যে দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প যেমন- মৎস্য সম্পদ আহরণ, এনার্জি, প্রযুক্তি, পর্যটন, গবেষণা, তেল ও গ্যাস, মেরিন বায়োলজি সাবমেরিন মাইনিং ইত্যাদি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এরজন্য বিভিন্ন ধরনের অফসোর পেট্রোল ভেসেল, ফাস্ট পেট্রোল বোট, করভেটস (রণতরী বিশেষ) এবং নৌ-বাহিনীর জাহাজ নির্মাণের প্রয়োজন হবে। এসব জাহাজ-নৌযান দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষাসহ দস্যুতা এবং মানব পাচার রোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও যথাযথ নীতিমালার প্রণয়ন করা হলে বিভিন্ন ধরনের জটিল প্রযুক্তির জাহাজবহর দেশেই নির্মাণ করা সম্ভব।
সাখাওয়াত হোসেন জাহাজনির্মাণ শিল্পের জন্য নীতিমালা তৈরির তাগিদ দিয়ে জানান, এটি একটি নিবিড় ও অধিক মূলধনী বিনিয়োগের শিল্প। এই শিল্পে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অবকাঠামোগত বিনিয়োগের দায়ভার বহন ও বিনিয়োগের উপর প্রদত্ত অধিক হারের সুদ। ওয়েস্টার্ন মেরিন বর্তমানে ভারত, নেদারল্যান্ড ও নরওয়েতে রফতানি এবং দেশীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও ৩২টি জাহাজ নির্মাণ করছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পখাত থেকে গত ৮ বছরে (২০০৯- ২০১৭) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪২টি জাহাজ রফতানি হয়েছে। এতে আয় হয়েছে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ওয়েস্টার্ন মেরিন এককভাবে বিশ্বের ১২টি দেশে ৩১টি জাহাজ রফতানি করেছে। যার মুল্য প্রায় ১৫১ মিলিয়ন ডলার।



 

Show all comments
  • লিয়াকত আলী ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:১৬ এএম says : 0
    অভিনন্দন
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Jahangir Alam ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:০৯ পিএম says : 0
    Congratulations.
    Total Reply(0) Reply
  • তমা ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৭:০৫ পিএম says : 0
    Congratulations
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ