Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী পুঁজি মেলা সমাপ্ত বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জাঁকজমকপূর্ণভাবে তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলা গতকাল (শনিবার) সমাপ্ত হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)’র আয়োজনে মেলার সমাপনী দিনে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দর্শনার্থীদের ছিল প্রচন্ড ভিড়। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিনিয়োগকারী ও দর্শনার্থীদের সাড়া ছিল লক্ষ্যণীয়। এবারের পুঁজিবাজার মেলায় ১০ হাজারের অধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজার মেলায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান ছয়টি প্যাভিলিয়ন ও ৮৩টি স্টল নিয়ে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ছিল ৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৬৯টি জেনারেল স্টোর। উল্লেখযোগ্য স্টলের মধ্যে রয়েছে লংকা বাংলা সিকিউরিটি, বিএসআরএম, কেএসআরএম, আইসিবি, ইউসিবি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউসিবি ক্যাপিটাল প্রমুখ। মেলায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহী ও সচেতন করে তুলতে ছিল নানা আয়োজন। এর পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্টল। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের শেয়ার বাজার ও বিনিয়োগ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সরবারহ করেছে স্টলগুলো। প্রতিদিন র‌্যাফেল ড্রতে ছিল ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।
পুঁজিবাজার সর্ম্পকে মানুষকে জানাতে এবং বিনিয়োগকারীদরে মধ্যে পুঁজিবাজারের সচতেনতা বাড়াতে ‘ষষ্ঠ পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ মেলার’ আয়োজন সফল হয়েছে উল্লেখ করে আয়োজকরা জানান, পুঁজিবাজারে নতুন ব্র্যান্ডিং এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সিএসই ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে প্রথম এ মেলার আয়োজন করে। এরপর ক্রমান্বয়ে ২০০৭ সালে সিলেটে দ্বিতীয়, ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে তৃতীয়, ২০১৪ সালে ঢাকায় চতুর্থ এবং ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে পঞ্চম ক্যাপিটাল মার্কেট মেলার আয়োজন করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনদিনের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খাইরুল হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এম মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিএসই’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ সাইফুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ১৯৯৪ সালে ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্ম হলেও পুঁজিবাজারের গ্রোথ হয়নি। এভারেজ লেনদেন ৫শ’ কোটি টাকার নিচে। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহী। মাত্র ৭-৮টি বহুজাতিক কোম্পানী তালিকাভুক্ত হয়েছে। অনেক কোম্পানী এখনও তালিকাভুক্তির বাইরে। আলোচকরা গ্রামীণ ফোনের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে গতি এসেছে বলে উল্লেখ করেন। তারা বহুজাতিক কোম্পানীগুলো যেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সে ব্যাপারে সিকিউরিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করেন। মেলায় সিএসই’র প্রাক্তন পরিচালকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ