২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বেদনায় মানুষ কি নীল হয়ে যায়? তবে বেদনায় নীল কথাটির প্রয়োগ নাটক, কবিতা ও উপন্যাসে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। দেহের বিভিন্ন রোগ বা বেদনায় জিহ্বার বর্ণ বা রং মাঝে মাঝে নীলাভ হয়ে থাকে। জিহ্বার নীল বর্ণ সাময়িক থেকে দীর্ঘ মেয়াদি হতে পারে। জিহ্বার রং নীল হওয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুটি কারণ হল: (১) সি.ও.পি.ডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিজ যা সাধারণভাবে বলতে বুঝায় জটিল বা পুরাতন প্রতিবন্ধকতাপ্রাপ্ত ফুসফুসের রোগ (২) পালমোনারী এমবোলজিম বা ফুসফুসের রোগ: এতে রক্তের কণিকা, বাতাস বা কোন প্রকার টিস্যুর ক্ষুদ্রাংশকে ঘিরে একটি গোলাকৃতি বা ডিম্বাকার পিন্ড তৈরী হয় যাকে সহজ বাংলায় এমবোলজিম বলা হয়।
জিহ্বার রং নীল হওয়ার অন্যান্য কারণসমূহ:
* কেন্দ্রীয় সায়ানোসিস-রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ত্বক এবং মিউকাস মেমব্রেনের নীলাভ বর্ণ ধারণকে সায়ানোসিস বলা হয়। কেন্দ্রীয় সায়ানোসিস এর ক্ষেত্রে জিহ্বার রং নীল হতে পারে।
* হিমোগেøাবিনের গঠনগত অস্বাভাবিকতা।
* হৃদযন্ত্রের কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে।
* পলিসাইথেমিয়া: পলিসাইথেমিয়া বলতে বুঝায় হিমোগেøাবিন এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং প্যাকড্ সেল ভলিউম ও লাল রক্ত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। দেহের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগে আপনার পলিসাইথেমিয়া হতে পারে। তাই জ্হিবার বর্ণ নীলাভ হলে অবশ্যই তা আমলে নিতে হবে।
* পার্পল রং (নীল রং এর কাছাকাছি রং) এর খাদ্য দ্রব্য গ্রহণের কারণে যেমন মিষ্টি, ক্যান্ডি ও আইসবøক।
* লাইকেন প্ল্যানাস জাতীয় চর্মরোগের কারণে। এ রোগটি মুখের ভিতরেও হতে পারে। তখন একে ওরাল লাইকেন প্ল্যানাসও বলা হয়।
এছাড়া অন্যান্য কিছু সমস্যায় জিহ্বা নীল রং ধারণ করতে পারে। তাই জিহ্বার বর্ণ নীলাভ হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন এবং পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল: ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
ই-মেইল: ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।