২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
টমেটোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের অনেকের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এ সবজিটি থাকেই। কারণ, এর পুষ্টিগুণ। টমেটোর পুষ্টির পরিমাণ সমান ওজনের আপেল, নাসপাতি, কলা বা আঙ্গুরের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে চারগুণ বেশি। নানা ভাবে আমরা টমেটো খেয়ে থাকি। কেউ কাঁচা খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ কেউ সালাদ বা রান্না করে খেতে ভালবাসেন।
* এক’শ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ঃ ভিটামিন এ-১০০০ আই ইউ, ভিটামিন সি-২৩ মিলি গ্রাম, ক্যালসিয়াম-১১ মিলি গ্রাম, লৌহ-০.৬ মিলি গ্রাম, ফসফরাস-২৭ মিলি গ্রাম, পটাশিয়াম-৩৬০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন-১ গ্রাম, গøুটাসিক অ্যাসিড-১০০-১৪০ গ্রাম, শক্তি-২০ ক্যালরি এবং পানি-৯৪%।
* চর্মরোগের চিকিৎসায় টমেটো কার্যকর। একটি টাটকা টমেটো নিয়ে তার রস সংগ্রহ করুন। তারপর সে রস ত্বকের যে স্থানটি রোগাক্রান্ত সেখানে মালিশ করুন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার মালিশ করলে দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
* টাটকা টমেটো কেটে টুকরো টুকরো করার পর সেগুলো থেকে রস সংগ্রহ করুন। তারপর এই রসের সঙ্গে খানিকটা চিনি মেশান। এই চিনিমিশ্রিত রস প্রতিদিন মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করুন। এতে মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল হবে।
* টমেটো যে কোনো রোগের মাত্রা হ্রাস করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টমেটোতে ‘লাইকোপেন’ নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয় ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* আপনাদের কেউ কি উচ্চ রক্তচাপের রোগী? তাহলে এখন থেকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খাবেন। সঙ্গে কিছু চিনিও মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
* যারা রক্ত স্বল্পতা বা এনিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী একটি সবজি বা ফল। একটি আপেল, একটি টমেটো এবং ১৫ গ্রাম তিল একসাথে খাবেন। এতে রক্ত স্বল্পতা সমস্যার অনেকটাই দূর হবে।
* আপনার মুখগহŸরে কি মাঝে মাঝে ক্ষতের সৃষ্টি হয়? এখন থেকে আর চিন্তা করবেন না। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় একবার করে টমেটোর রস খান। দেখবেন, দিন দশেকের মাথায় ক্ষত দূর হয়ে যাবে।
* টমেটোর এক মজাদার খাবারের নাম ‘সবজি চাল স্যুপ’। এর প্রধান উপাদান হচ্ছে, টমেটো, সেলারি, গাজর এবং চাল। এই খাবার হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় খুব কার্যকর।
* সর্দি গরমি, গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায়। এত্রে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে ¯øাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্র গরম করে স্যুপ তৈরি করুন। তারপর গরম গরম খেয়ে নিন।
* সামান্য জ্বর হলে গ্রেফ টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন। এত্রে টমেটোর রসের সাথে তরমুজের রস মিশিয়ে খাবেন। ঘন্টায় ঘন্টায় একটু একটু করে খেতে থাকুন।
* আপনার মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়, তবে বুঝতে হবে, আপনার ভিটামিন সি-এর অভাব আছে। প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে দিন পনের হয়তো দেখবেন রক্তপাত আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে গেছে।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।